মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: মাঝরাত থেকে পরেরদিন দুপুর পর্যন্ত টানা গুলির লড়াই। জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu nad Kashmir) সোপিয়ানে শেষমেশ নিকেশ সন্ত্রাসবাদী। তবে গুলিযুদ্ধে শহিদ হয়েছেন ২ সেনা জওয়ান। কাশ্মীর পুলিশের তরফে টুইট করে এই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে AK রাইফেল, পিস্তল-সহ প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র। নিহত জঙ্গি (Terrorists) লস্করের সদস্য বলে জানা গিয়েছে। এলাকা এখনও ঘিরে রয়েছেন সেনাবাহিনীর জওয়ানরা।
সোপিয়ানের (Shopian) জইনপোরা এলাকার চারমার্গ। সেখানেই ঘাঁটি গেড়েছে জঙ্গিরা। গোপন সূ্ত্রে এই খবর পেয়ে শুক্রবার রাতের দিকে জঙ্গিবিরোধী যৌথ অভিযান চালায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এলাকা সম্পূর্ণ ঘিরে শুরু হয় আক্রমণ। যে বাড়িতে আত্মগোপন করেছিল জঙ্গিরা, সেই বাড়ির উদ্দেশে গুলি ছোড়েন জওয়ানরা। পালটা সেই বাড়ি থেকেও ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি ধেয়ে আসে সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে। রাত থেকে সেই গুলির লড়াই চলেছে দুপুর পর্যন্তও। সকালের দিকেই খবর মেলে, এক সন্ত্রাসবাদীকে নিকেশ করা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, নিহত জঙ্গি লস্কর-ই-তইবার সদস্য।
[আরও পড়ুন: বাম প্রার্থীর বাড়িতে হাজির মদন মিত্র! পুরভোটের আগে কামারহাটিতে অন্য সমীকরণ]
পরে শ্রীনগরে সেনা ও পুলিশের তরফে যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, জইনপোরার ওই অপারেশনে শহিদ হয়েছেন ২ সেনাও (Armymen)। তাঁদের নাম সন্তোষ যাদব, রোমিত চৌহ্বান। তাঁরা রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের (RR) সদস্য বলে জানা গিয়েছে। জঙ্গিদের গুলি লেগে প্রাণহানি ঘটেছে তাঁদের। টানা গুলির লড়াইয়ের জেরে এখনও উত্তপ্ত এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপত্তায় চারমার্গ এলাকায় মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী। নিরাপত্তারক্ষীদের সন্দেহ, জঙ্গল-পাহাড়ঘেরা এলাকায় আরও জঙ্গি গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছে।
[আরও পড়ুন: হিজাবের মতো এবার কপালে তিলক কেটেও ঢুকতে মানা কর্ণাটকের কলেজে, তুঙ্গে বিতর্ক]
কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, গওহর আহমেদ ভাট নামে একজনের বাড়িতে জঙ্গিরা আত্মগোপন করেছিল। ওই ব্যক্তি প্রথমে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেন। কিন্তু তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের সময়েই জঙ্গিরা শেল ফাটায়। তাতেই বোঝা যায়, ওই বাড়িতেই লুকিয়ে রয়েছে লস্কর জঙ্গিরা। এরপরই অপারেশন চালায় সেনাবাহিনী। শুরু হয় গুলিযুদ্ধ।