নব্যেন্দু হাজরা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) আগেই আবেদন করেছিলেন করোনার (Corona) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পুজো কমিটিগুলিকে এগিয়ে আসতে। তাই এবার শুধু মাস্ক বিলি বা বাড়ি স্যানেটাইজ করা নয়। একেবারে বাড়ি বাড়ি চিকিৎসক নিয়ে ঘুরলেন চন্দননরের (Chandannagar) জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির সদস্যরা। বাড়িতে কারও কোনও সমস্যার কথা জানালে তাঁকে পরীক্ষা করছেন চিকিৎসকরা। রক্তচাপ, অক্সিমিটারে অক্সিজেনের মাত্রা পরীক্ষা করছেন। সেই সঙ্গে বিপদে আপদে যোগাযোগের জন্য আপতকালিন নম্বরও দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর পুজো কমিটিগুলির এই উদ্যোগে অভিভূত সাধারণ মানুষ।
চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির পক্ষ থেকে শহরের মানুষের পাশে থাকার অহ্বান জানানো হয়েছিল প্রতিটি পুজো কমিটিকে। রবিবার সেই ডাকে সাড়া দিয়ে উর্দি বাজার সর্বজনীন দুর্গাপুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি মানুষের পাশে দাঁড়াতে বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা নিল। চিকিৎসক নিয়ে ঘোরার পাশাপাশি করোনা সংক্রমিতদের ওষুধ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও খাদ্য সামগ্রী পৌঁছনর ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।। নার্সিংহোম, হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
রবিবার থেকেই শুরু হয়েছে লিফলেট বিলি কর্মসূচি। সেই লিফলেটে থাকছে বেশ কিছু ফোন নম্বর। সেখানে যোগাযোগ করলেই মুশকিল আসান হবে বলে দাবি উদ্যোক্তাদের। প্রচার চালাল মানকুন্ডু সার্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটিও। এলাকায় করোনা রুখতে তারাও একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে। মনসাতলা জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির পক্ষ থেকেও এদিন বাড়ি বাড়ি স্যানেটাইজেশন করা হয়।
[আরও পড়ুন: ‘আমাকেও গ্রেপ্তার করুন’, দিল্লিতে সরকার বিরোধী পোস্টার বিতর্কে গর্জে উঠলেন রাহুল]
পুজো কমিটির সদস্যরা মনে করছেন, এই ধরনের কাজ যদি পাড়ায় পাড়ায় প্রতিটি ক্লাব ও পুজো প্রতিষ্ঠান করে, তা হলে সাধারণ মানুষ অনেকটা উপকৃত হবেন। চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির সম্পাদক শুভজিৎ সাউয়ের দাবি, “সব বিষয়েই চন্দননগর বাকিদের দিশা দেখায়। এক্ষেত্রেও অন্যথা হবে না। চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বর মিলিয়ে ১৭১ টি পুজো কমিটি বিভিন্ন জায়গায় করোনা মোকাবিলায় সাহায্য করবে। আমরা আপাতত অক্সিমিটার দিয়ে পরীক্ষা ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। এ ছাড়াও মানুষের অসুবিধা হলে হেল্পলাইনে ফোন করলেই আমরা সাহায্যের ব্যবস্থা করব।’’