সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিনদুয়েক আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করেছেন চন্দ্রবাবু নায়ডু। জল্পনা, ফের এনডিএ শিবিরে ফিরতে পারেন তেলুগু দেশম পার্টির প্রধান। এই প্রেক্ষাপটে, আজ শুক্রবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা ওয়াইএসআর কংগ্রেসের সুপ্রিমো জগনমোহন রেড্ডি।
ওয়াইএসআর শিবির সূত্রে খবর, অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য ‘বিশেষ মর্যাদা’র দাবি জানাতেই প্রধানমন্ত্রীর দরবারে হাজির হয়েছেন জগন। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের তরফে করা টুইটেও এই সাক্ষাতের কথা বলা হয়েছে। তবে, লোকসভা নির্বাচনের আগে এবং চন্দ্রবাবুর ‘শাহি আলোচনার’ ফলে এই মোদি-জগন বৈঠক অন্য ‘রাজনৈতিক মাত্রা’ পেয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, অন্ধ্র নিয়ে ‘বোঝাপড়া’ করতেই কি এই সফর। উল্লেখ্য, ইন্ডিয়া জোটে নেই ওয়াইএসআর কংগ্রেস। তলে তলে দিল্লির সঙ্গে বেশ ‘মধুর সম্পর্ক’ রাখেন জগন বলেও রাজনীতির আঙিনায় রটনা।
রাজনেতিক বিশ্লেষকদের মতে, লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অন্ধ্রে ঘুঁটি সাজাচ্ছে বিজেপি। রাজ্যের ২৫টি আসনে শাসকদল ওয়াইএসআর কংগ্রেসকে জোর টক্কর দিতে চন্দ্রবাবুকে সঙ্গী করতে চলেছে গেরুয়া শিবির। শুধু তাই নয়, জগনকে হারানোর উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যেই তেলুগু অভিনেতা-রাজনীতিক পবন কল্যাণের দল জনসেনা পার্টির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে টিডিপি। বিজেপিও সেই জোটে শামিল হলে জগনের হারের সম্ভাবনা রয়েছে। বলে রাখা ভাল, গত জানুয়ারি মাসেই কংগ্রেসে যোগ দেন জগনের বোন ওয়াই এস শর্মিলা (YS Sharmila)। তাঁকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ দিয়েছে হাত শিবির। কংগ্রেসের অনুমান, দলের অন্দরেই ক্ষোভের মুখে পড়েছেন জগন। তাই অনেক নেতাই জগনের দল ছাড়তে আগ্রহী। সব মিলিয়ে, জগনের জন্য লোকসভা নির্বাচন লিটমাস টেস্ট হবে বলেই ধারণা।