সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোাসিয়েশনের সভাপতি ও রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বলের অবস্থান ও বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়। এই ঘটনাকে 'মানবতার লজ্জা' বলে তোপ দাগার পাশাপাশি আইনজীবী সিব্বল ঘটনাকে ভিন্ন পথে চালানোর চেষ্টা করছেন বলে দাবি তাঁর।
শনিবার একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে উপরাষ্ট্রপতি বলেন, “আর জি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের যে ঘটনা ঘটেছে তা মানবতার লজ্জা। সেখানে একজন প্রবীণ আইনজীবী ও সাংসদ ঘটনাকে ভিন্ন পথে পরিচালনা করতে চাইছেন।” তিনি জানান, দেশের সব্বোর্চ আদালতে দাঁড়িয়ে সেই আইনজীবী আরজি করের ঘটনাটিকে বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা বলেছেন। ঘটনাটি অত্যন্ত সংবেদনশীল। অথচ ওই আইনজীবী বিষয়টিকে তুচ্ছে করে দেখাতে চাইছেন বলে আক্রমণ শানান ধনকড়।
[আরও পড়ুন: আপ বিধায়ক আমানাতুল্লাহর বাড়িতে ইডির হানা, বাড়ছে গ্রেপ্তারির আশঙ্কা]
আর জি করের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় গোটা দেশ। এই ধরনের ঘটনা রুখতে কড়া আইন আনার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য। এরমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বলকে নিশানা করলেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল ও উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়। এদিন হৃষিকেশে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে ধনকড় বলেন, “কলকাতার ঘটনা মানব সভ্যতাকে লজ্জায় ফেলেছে। কিন্তু এরমধ্যে কিছু কিছু মানুষের বিপথগামী কন্ঠস্বর উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। কারণ তিনি সমাজের একজন দায়িত্বশীল মানুষ। একজন সাংসদ। একজন আইনজীবী।” এঁরা মানুষের বিবেকে যে আঘাত লেগেছে তাতে লবনের ছিটে দিচ্ছেন বলে আক্রমণ শানান ধনকড়। কপিল সিব্বলকে তাঁর চিন্তাভাবনা বদল করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আবেদন জানান।
[আরও পড়ুন: ‘আসনা’র প্রভাবে ব্যাপক বৃষ্টি অন্ধ্র-তেলেঙ্গানায়, মৃত অন্তত ২৪, বাতিল শতাধিক ট্রেন]
সিব্বলের কাছে তাঁর আবেদন, এই ঘটনার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিশ্বাস দূরে সরিয়ে রাখুন। রাজনৈতিক বিশ্বাসকে গুরুত্ব দিয়ে অবস্থান নিলে তা আরও বিপজ্জনক হবে বলে জানান তিনি। আরজি করের ধর্ষণ ও খুনের প্রসঙ্গ টেনে উপরাষ্ট্রপতি বলেন, “একজন চিকিৎসকের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। একটা সীমা পর্যন্ত তিনি সাহায্য করতে পারেন। কিন্তু চিকিৎসকরা ইশ্বর নন। তাঁরা যখন আক্রান্ত হন তখন সর্বশক্তি নিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়াতে হবে।” কপিল সিব্বল ছাড়াও সমাজসেবী সংগঠনের নীরাবতা নিয়ে সোচ্চার হন ধনকড়। তিনি জানান, যেভাবে এই ঘটনা নিয়ে সমাজসেবী সংগঠনগুলি নীরবতা পালন করছে তা নিন্দনীয়।