সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়কে (Jagdeep Dhankar) নকল করে যে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ভোটবাক্সে সেই বিতর্কের ফায়দা তুলতে চেষ্টার কসুর করছে না বিজেপি। ধনকড়ের এই ‘অপমান’কে একাধারে উপরাষ্ট্রপতি, সংবিধান, এবং জাট সম্প্রদায়ের অপমান হিসাবে দেখানো হচ্ছে। উপরাষ্ট্রপতির অপমানকে ইস্যু করে গেরুয়া শিবির শুধু যে বিরোধীদের আক্রমণ করছে তাই নয়, একই সঙ্গে সংসদে হানা, বিরোধীদের সাসপেনশনের মতো ইস্যুগুলিকেও ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছে।
বুধবার দিনভর এই ইস্যু নিয়ে সংসদে একাধিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে গেল বিজেপি (BJP)। প্রথমে ধনকড়ের পাশে দাঁড়িয়ে সংসদে প্রায় ঘণ্টাখানেক স্রেফ দাঁড়িয়ে থাকেন বিজেপি-সহ এনডিএর সাংসদরা। এদিকে সংসদের বাইরে বিজেপির মহিলা সাংসদরা রীতিমতো মিছিল করেছেন। তাঁদের দাবি রাষ্ট্রপতির অপমান মানবে না দেশ।
[আরও পড়ুন: আরও দামি ডিম-মুরগির মাংস, কেক-পিকনিকের জেরে হু হু করে বাড়ছে দাম]
এদিন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ধনকড়ের সঙ্গে কথা বলেন। উপরাষ্ট্রপতি নিজেই সেকথা জানিয়ে বলেন, মোদি আমাকে বলেছেন, তিনি ২০ বছর ধরে এই ধরনের অপমান সহ্য করে আসছেন। এ নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন খোদ রাষ্ট্রপতিও। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘‘সংসদ চত্বরে আমাদের শ্রদ্ধেয় উপরাষ্ট্রপতিকে যে ভাবে অপমান করা হয়েছে, তা দেখে আমি হতাশ হয়েছি।’
[আরও পড়ুন: বড়দিনের শহরে রাস্তা আটকে কেকের পসরা, মাসে মোটা টাকা জরিমানা পুরসভার]
ধনকড় নিজে এদিন রাজ্যসভার (Rajya Sabha) অধিবেশন চলাকালীন কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তিনি বলেন,”আমার অপমান নিয়ে আমি ভাবছি না। আমি রক্তবিন্দু পান করতে পারি। কিন্তু আমার পদের অপমান, কৃষক সমাজের অপমান এবং আমার জাতির অপমান হলে আমি সহ্য করব না।” সরাসরি তাঁর নিশানায় ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংকে উদ্দেশ্য করে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বললেন,”এ নিয়ে আপনাদের নীরবতা আমাকে ভীষণভাবে বিঁধছে। আপনি বলেন আপনার দল ১৩৮ বছরের পুরনো। অথচ, একজন সাংসদ এই ধরনের নিন্দনীয় ঘটনার ভিডিও তুলছেন, আর আপনারা নীরব। খাড়গেজির নীরবতা আমাকে ভীষণভাবে বিঁধছে।”