shono
Advertisement

‘মন্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চান’, নাড্ডার কনভয়ে হামলায় মমতার ‘নাটক’কটাক্ষের পালটা ধনকড়ের

মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে তিনি দুঃখিত বলেও সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন রাজ্যপাল।
Posted: 01:59 PM Dec 11, 2020Updated: 03:17 PM Dec 11, 2020

দীপঙ্কর মণ্ডল: বৃহস্পতিবার জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনাকে ‘প্রচার না পেয়ে নাটক’ বলে তুলে ধরেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই মন্তব্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করে সেই মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবি তুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। এদিন রাজভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে তাঁর বক্তব্য, ”এমন মন্তব্যে আমি লজ্জিত। গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত হল। আপনার উচিত, ক্ষমা চেয়ে নেওয়া।” এরপর তাঁর আরও মন্তব্য, ”কয়েকজন প্রশাসন কর্তা রাজনৈতিক কর্মীর কাজ করছেন। এটা বরদাস্ত হবে না। গণতন্ত্র বিপন্ন এ রাজ্যে।” পাশাপাশি, বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতির ডায়মন্ড হারবার সফরে নিরাপত্তায় গলদ ছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

Advertisement

রাজভবন-নবান্নের সংঘাত নতুন নয়। বরাবর প্রশাসনিক কাজে রাজনৈতিক প্রভাব ফেলার অভিযোগে সরব হয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। অন্যদিকে, রাজ্যপাল এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে প্রশাসনিক কাজে হস্তক্ষেপ করছেন, তিনি বিজেপির প্রতিনিধিত্ব করছেন বলে পালটা অভিযোগে শোনা গিয়েছে শাসকদলের নেতাদের গলায়। মুখ্যমন্ত্রীও বারবার এই অভিযোগ তুলেছেন। সেসব নিয়ে রাজ্যপালও বারবার আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন। তিনি রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি জানতে চেয়ে বারংবার মুখ্যসচিব ও ডিজিপিকে তলব করেছেন ধনকড়। তাঁরা প্রথমদিকে তাতে সাড়া না দিলেও, বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের জরুরি তলব পেয়ে রাজভবনে যান। কিন্তু নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনার যে বিস্তারিত রিপোর্ট ধনকড় চেয়েছিলেন, তা মুখ্যসচিব বা ডিজিপি দিতে পারেননি বলে পরবর্তীতে টুইটে জানিয়েছিলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান।

[আরও পড়ুন: নেতা ও মন্ত্রীদের কন্ঠস্বর নকল করে ফোন! টাকা আদায়ের চেষ্টা, গ্রেপ্তার যুবক]

তার পরিপ্রেক্ষিতেই শুক্রবারের সাংবাদিক সম্মেলন। সেখানে কিছুটা আক্ষেপ, বেশিরভাগটাই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ধনকড়। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী যে ভাষায় নাড্ডা-সহ বিজেপি নেতৃত্ব এবং রাজ্যপালকে আক্রমণ করেছেন, তা নিয়েও আপত্তি রয়েছে তাঁর। বললেন, ”মুখ্যমন্ত্রী অভিজ্ঞ। আমি ওর কথায় দুঃখ পেয়েছি। রাজনীতিতে সংস্কৃতি থাকতে হবে। ক্ষমা চেয়ে নিন, তাহলে আপনার সম্মান বাড়বে।” কিছুটা হুঁশিয়ারির সুরে তিনি এও বলেন, ”আগুন নিয়ে খেলবেন না।”

[আরও পড়ুন: শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি, তবে এখনও সংকটজনক বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য]

এরপর তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ”প্রশাসনিক কর্তাদের ডাকলেও তাঁরা আসেন না।” আগামী নির্বাচনকে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করে ধনকড়ের দাবি, তার আগে রাজ্যের এই অশান্ত পরিস্থিতিতে তিনি উদ্বিগ্ন। তাই বারবার সামগ্রিক পরিস্থিতি বোঝার জন্য পুলিশ ও প্রশাসনকে ডেকে পাঠান, আলোচনা করতে চান। কিন্তু তাতে আমল দেওয়া হয় না বলে আক্ষেপ তাঁর। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে বেশ আক্রমণাত্মক মেজাজেই দেখা গেল তাঁকে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement