shono
Advertisement

দিল্লি হাই কোর্টের নির্দেশে স্বস্তি, আপাতত কারাবাস নয় প্রাক্তন মন্ত্রী দিলীপ রায়ের

কয়লা ব্লক বণ্টন দুর্নীতিতে দোষী সাব্যস্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেয় CBI আদালত।
Posted: 09:18 PM Oct 27, 2020Updated: 09:26 PM Oct 27, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাজা ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বড়সড় স্বস্তিতে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দিলীপ রায় (Dilip Ray)। কয়লা ব্লক বণ্টন (Coal Block) দুর্নীতি মামলায় সোমবারই সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত তাঁর তিন বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করে। কিন্তু এই রায়ের বিরুদ্ধে প্রাক্তন মন্ত্রী মঙ্গলবার দিল্লি হাই কোর্টে (Delhi High Court) আবেদন করেন এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশে আপাতত জেলে যেতে হচ্ছে না তাঁকে। দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি সুরেশ কুমার এ নিয়ে সিবিআইকে নোটিস পাঠিয়েছেন। ফলে নতুন করে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হল এই মামলায়।

Advertisement

বছর কুড়ি আগে অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে কয়লা মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন ওড়িশার বিজু জনতা দলের (BJD) তৎকালীন রাজ্যসভা সাংসদ দিলীপ রায়। সেসময় তিনি ঝাড়খণ্ডের গিরিডি জেলার ব্রহ্মডিহা কয়লা ব্লকটি বেআইনিভাবে ক্যাস্ট্রন টেকনোলজি লিমিটেড (CTL)-কে পাইয়ে দেন বলে অভিযোগ ওঠে।

[আরও পড়ুন: বিজেপির হয়ে প্রচারের অভিযোগ, বিতর্কে জড়িয়ে ফেসবুক ছাড়লেন আঁখি দাস]

২০১৭ সালে এই মামলটি দিল্লির বিশেষ সিবিআই আদালতে ওঠে। আর তারপর থেকে একাধিকবার শুনানি হওয়ার পর গত ৬ অক্টোবর কয়লা দপ্তরের প্রাক্তন রাষ্ট্রমন্ত্রী দিলীপ রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে সিবিআইয়ে বিশেষ আদালত। তাঁর পাশাপাশি এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আমলা প্রদীপ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, নিত্যানন্দ গৌতম ও ক্যাস্ট্রন টেকনোলজি লিমিটেডের অধিকর্তা মহেন্দ্র কুমার আগরওয়াল। সোমবার তাঁদের সাজা ঘোষণা হয়। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দিলীপ রায় ও বাকি ২ অভিযুক্তকে তিন বছরের কারাদণ্ডে নির্দেশ দেন বিচারক। ক্যাস্ট্রন টেকনোলজিস লিমিটেড ও ক্যাস্ট্রন মাইনিং লিমিটেড নামে দুটি কোম্পানিকে ৬০ লক্ষ ও ১০ লক্ষ টাকা করে জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

[আরও পড়ুন: ‘দুর্নীতি উন্নয়নের ক্ষতি করে’, দায়বদ্ধ ও স্বচ্ছ প্রশাসন তৈরির আহ্বান মোদির]

সোমবারই এক লক্ষ টাকা বেল বন্ডের বিনিময়ে এই মামলায় জামিন মঞ্জুর হয়েছিল দিলীপ রায়ের। ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত তাঁর কাছে সময় ছিল এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে পালটা মামলা করার। কিন্তু কালবিলম্ব না করে মঙ্গলবারই তিনি দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। আর তাতেই মিলল স্বস্তি। কীসের ভিত্তিতে এই রায়, তার জবাবদিহি চেয়ে সিবিআইকে নোটিস পাঠিয়েছেন বিচারপতি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৫ নভেম্বর।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement