সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী পদে তৃতীয়বার শপথ নিতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি। রবিবার তাঁর সঙ্গে শপথ নেবে নতুন মন্ত্রিসভাও। আগামী দিনে শপথ নেবেন অন্যান্য সাংসদরাও। তার মধ্যেই প্রশ্ন উঠছে সদ্যনির্বাচিত দুই সাংসদকে ঘিরে। জেল থেকেই নির্বাচনে লড়ে জিতেছেন অমৃতপাল সিং এবং শেখ আবদুল রশিদ। জেলবন্দি দুই সাংসদ কি আদৌ শপথ নিতে পারবেন? নাকি নির্বাচনে জিতেও সাংসদ তকমা জুটবে না তাঁদের কপালে।
সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে পাঞ্জাবের (Punjab) খাদুর সাহিব আসন থেকে নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দেন ‘খলিস্তানি’ নেতা অমৃতপাল সিং (Amritpal Singh)। প্রায় দুলক্ষ ভোটে কংগ্রেস প্রার্থীকে হারিয়ে দেন তিনি। অন্যদিকে, কাশ্মীরের (Kashmir) বারামুলাতে নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দেন দেন রশিদ। ওই কেন্দ্রে তাঁর প্রতিপক্ষ ছিলেন কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। ২ লক্ষ ৪ হাজারের বেশি ভোটে জিতে গিয়েছেন রশিদ। উল্লেখ্য, জাতীয় সুরক্ষা আইনে গ্রেপ্তার হয়ে ডিব্রুগড় জেলে রয়েছেন খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল। সন্ত্রাসে মদত দেওয়া এবং আর্থিক সহায়তা দেওয়ার অভিযোগে তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন রশিদ (Sheikh Abdul Rashid)।
[আরও পড়ুন: একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জমানায় নয়, দেশের আর্থিক উন্নতিতে অবদান বেশি ‘মিলিজুলি’ সরকারেরই!]
প্রশ্ন উঠছে, জনতার ভোটে জিতলেও কি শপথ নিয়ে আর পাঁচজন সাংসদে মতো কাজ করতে পারবেন তাঁরা? সংবিধানের ১০১ (৪) ধারায় এই বিষয়টি নিয়ে বিশদ বলা হয়েছে। তবে জেলবন্দিরা শপথ নিতে পারবেন কিনা, সেই নিয়ে স্পষ্ট কিছু বলা নেই। তাঁদের পরিবারের সদস্যরা আবেদন জানাতে পারেন, যেন জেল কর্তৃপক্ষ শপথ নেওয়ার অনুমতি দেন। নিয়মমাফিক শপথ নেওয়ার পরে আবার জেলে ফিরে যেতে হবে তাঁদের। সংবিধান অনুযায়ী, স্পিকারকে চিঠি লিখে জেলবন্দি সাংসদদের জানাতে হবে তাঁরা সংসদের কাজে অংশ নিতে পারবেন না।
সেই আবেদনপত্র সংসদের কমিটিতে পাঠাবেন স্পিকার। আবেদনকারী সাংসদ অর্থাৎ অমৃতপাল এবং রশিদকে সংসদের কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া যাবে কিনা, সেই নিয়ে সুপারিশ করবে কমিটি। সুপারিশ নিয়ে সংসদে ভোটাভুটি করাবেন স্পিকার। কিন্তু জেলে থাকা অবস্থায় যদি দোষী সাব্যস্ত হয়ে দুবছরের বেশি কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন তাহলে সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাবে। উল্লেখ্য, চলতি বছরেই জেলবন্দি অবস্থায় রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে শপথ নিয়েছিলেন আপের সঞ্জয় সিং। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই ছেলের শপথ নেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন অমৃতপালের মা। সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন রশিদের ছেলেও। উল্লেখ্য, রশিদের পুত্র আবরার নিজেই নির্বাচনী প্রচারের পুরো দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তবে দুই সদ্যনির্বাচিত জেলবন্দি কবে শপথ নেবেন, সেটা এখনও অনিশ্চিত।