শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতিতে ফের প্রশ্নের মুখে সরকারি হাসপাতালের ভূমিকা। এবার করোনা রোগীকে ভরতি না নেওয়ার অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) হাসপাতালের বিরুদ্ধে। বাড়িতে কার্যত বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হল ওই করোনা আক্রান্তের। দেহ সৎকার নিয়েও চলছে টানাপোড়েন।
জানা গিয়েছে, করোনা আক্রান্ত ওই মহিলার নাম সন্ধা রায়। বয়স ৪১ বছর। বেশ কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন ওয়াটগঞ্জের বাসিন্দা ওই মহিলা। করোনার উপসর্গও ছিল। সেই কারণেই ঝুঁকি না নিয়ে তাঁর কোভিড টেস্ট করা হয়। সোমবার রিপোর্ট আসে পজিটিভ। এদিকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতিও হয়েছিল। সেই কারণেই ওইদিনই পরিবারের সদস্যরা সন্ধাদেবীকে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে ভরতির সিদ্ধান্ত নেন। অভিযোগ, হাসপাতালের তরফে জানানো হয় বেড নেই। ফলে রোগীকে ভরতি করা যায়নি হাসপাতালে। বাধ্য হয়ে তাঁকে বাড়িতেই রাখা হয়। রাত দেড়টা নাগাদ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। এরপর দেহ নিয়েও হেনস্থার শিকার হতে হয় পরিবারকে।
[আরও পড়ুন: নেত্রীর নির্দেশই শিরোধার্য? CBI দপ্তরে হাজিরা এড়ালেন অনুব্রত, চিঠি লিখে জানালেন কারণ]
সন্ধাদেবীর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, মৃত্যুর খবর জানানোর পর দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও দেহ উদ্ধারের ব্যবস্থা করেনি প্রশাসন। বাধ্য হয়ে মঙ্গলবার সকালে একটি অ্যাম্বুল্যান্সে করে সন্ধাদেবীর দেহ নিয়ে বিশ্ব বাংলা ক্রীড়াঙ্গণের কোভিড হাসপাতালে হাজির হয় পরিবার। এরপর হাসপাতাল দেহটি সৎকারের ব্যবস্থার আশ্বাস দিলেও শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। এখনও হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষারত পরিবার। যদিও এই ঘটনায় জলপাইগুড়ি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন সুপার। তাঁর পালটা দাবি, রোগীকে কোভিড ওয়ার্ডে ভরতি করাতে রাজি হয়নি পরিবার। সেই কারণেই তাঁকে ভরতি নেওয়া সম্ভব হয়নি।