শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: ভালই ছিলেন চাষি চাষ করে। কাল হল তার লটারি কিনে। চাষাবাদ করে বেশ দিন কাটছিল জলপাইগুড়ি গড়াল বাড়ির কৃষক ইয়ারুল হকের। নির্ঝঞ্ঝাট জীবন। মাঝেমধ্যে লটারি কিনে কোটিপতি হওয়ার স্বপ্নও দেখতেন তিনি। এ পর্যন্ত বেশ ভালই কাটছিলো। দীপাবলির দিনে এক টিকিটই বদলে দিল সব কিছু। ৬০ টাকা দিয়ে লটারির (Lottery) টিকিট কিনে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে এখন রীতিমতো বিড়ম্বনায় ইয়ারুল। এত টাকা রাখবেন কোথায়, সেই ভেবেই এখন মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড়। তার উপর টাকার জন্য প্রাণ খোয়ানোর আশঙ্কা। বৃহস্পতিবার কালীপুজোর দিনে সেই ভয়ে কাজকর্ম ফেলে থানায় ছুটে এলেন থানায়।
কৃষক ইয়ারুল হক জানান, তাঁর পরিবারের সামান্য জমি রয়েছে। চাষাবাদ করে যা পান তা দিয়ে সংসার চলে। মা, বাবা, ভাইবোনকে নিয়েই তাঁর সংসার। শখ বলতে মাঝেমধ্যে লটারি কাটা। আর কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। ভাঙা ঘরে শুয়ে সেই স্বপ্নই যে সত্যি হবে তা ভাবতে পারেননি ইয়ারুল। জানান গত বছর এই দিনেই এক টিকিটে এক কোটি টাকা ফসকে গিয়েছিল তাঁর।
[আরও পড়ুন: কালীপুজোর সন্ধেয় মল্লিক বাজারের বহুতলে আগুন, এলাকায় চাঞ্চল্য]
এবারও টিকিট কাটেন তিনি। তবে এক বছরের মাথায় সেই দীপাবলিতেই কিস্তিমাত। ইয়ারুল জানান, “প্রথমে নিজের চোখ কানকে বিশ্বাস করতে পারিনি। কিছুক্ষণ কোনও কথা বলারই ক্ষমতা হারাই। দাঁড়িয়ে ছিলাম। পরে বুঝলাম স্বপ্ন নয়, এটাই সত্যি।”
কিন্তু স্বপ্ন সত্যি হলেও শান্তি নেই ইয়ারুলের। দিনকাল ভাল না। টাকার জন্য প্রাণ সংশয় হতে পারে। এই আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার থানায় যান তিনি। লিখিতভাবে নিরাপত্তার দাবি জানান ইয়ারুল। পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। আশ্বস্ত হয়ে বাড়ি ফেরেন ইয়ারুল। এত টাকা নিয়ে কী করবেন কৃষক? তিনি জানান, “কোটিপতি হয়ে কী কী করব এক সময় ভাবতাম। সেই ভাবনাগুলোকেই এবার সত্যি করব।”