শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: বাড়তি আয়ের আশায় ভিনরাজ্যে কাজে যাওয়াই যেন কাল। কেরলে কাজে গিয়ে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু জলপাইগুড়ির যুবকের। রবিবার কফিনবন্দি দেহ পৌঁছয় তাঁর বাড়িতে। কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার।
মৃত বছর পঁয়ত্রিশের সুরেন্দ্র কুজুর জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি ব্লকের লক্ষীকান্ত চা বাগানের চার্চ লাইনের বাসিন্দা। তাঁর পরিবারে মা, দুই বোন, এক ভাই-সহ ৮ জন রয়েছেন। ধূপগুড়ি থানার অধীনে সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ পান সদ্যই। তবে সেই আয়ে সংসার চালানো দায় বলেই মাঝেমাঝে বলতেন সুরেন্দ্র। সে কারণে কেরলে কাজ খুঁজে নেন তিনি। এর্নাকুলামে কাজে যান। গত ১৫ নভেম্বর তারিখ হঠাৎ পরিবারের কাছে ফোন আসে। ওই ফোনেই দুঃসংবাদ জানতে পারেন তাঁর পরিবারের লোকজন। পরিবারের অপর প্রান্ত থেকে তাঁদের জানানো হয়, মৃত্যু হয়েছে সুরেন্দ্রর।
হাতে টাকাপয়সা নেই। তাই দেহ বাংলায় ফেরাতে বেশ খানিকটা সময় লেগে যায় পরিবারের। গত ২৮ নভেম্বর কেরলে পৌঁছন মৃতের ছোট ভাই অমৃত কুজুর। সুরেন্দ্রর কর্মস্থল এবং হাসপাতাল ঘোরাঘুরি করতেই কেটে যায় বেশ কয়েকদিন। রবিবার মৃত দাদার দেহ নিয়ে বাড়ি ফেরেন অমৃত। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তাঁদের বাড়িতে যান ধূপগুড়ির ডাউকিমারি ফাঁড়ির ওসি রমেন লস্কর ও ধূপগুড়ি থানার পুলিশ কর্মীরা। কীভাবে মৃত্যু হল ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের, তা এখনও জানা যায়নি। সংসারের একমাত্র রোজগেরের মৃত্যুতে মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে নিহতের পরিবারের লোকজনের।