shono
Advertisement

কেরলের বাঙালি কলোনিতে বড়সড় বিস্ফোরণের ছক ছিল বোমারু মিজানের

জঙ্গি তৈরির জন্য কেরলে শ্রমিকদের সংগঠিত করাই ছিল মূল কাজ৷ The post কেরলের বাঙালি কলোনিতে বড়সড় বিস্ফোরণের ছক ছিল বোমারু মিজানের appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 01:20 PM Aug 08, 2018Updated: 01:50 PM Aug 08, 2018

অর্ণব আইচ: ভারতে নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিন (ইন্ডিয়া) তৈরির জন্য জঙ্গি নেতা বোমারু মিজানের ‘টার্গেট’ ছিল কেরলের মালাপ্পুরম জেলার বাঙালি কলোনি। গা-ঢাকা দিয়ে সেখানকার শ্রমিকদের সংগঠিত করেই ফের নতুনভাবে জঙ্গি সংগঠনকে পোক্ত করার চেষ্টা করে মিজান। মালদহ ও মুর্শিদাবাদ থেকে শ্রমিকের কাজ করতে আসা যুবকদের মগজধোলাই করে সে।

Advertisement

কখনও কলকাতা হয়ে বসিরহাট। কখনও মালদহ বা মুর্শিদাবাদ। আবার কখনও চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ হয়ে কেরলের বাঙালি কলোনি। চার বছর ধরে গোয়েন্দাদের নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছিল বাংলাদেশ তথা ভারতের জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) নেতা বোমারু মিজান ওরফে কওসর।

[কওসরের গ্রেপ্তারির খবরে স্বস্তিতে খাগড়াগড়ের বাসিন্দারা, চরম শাস্তির দাবি]

এই জঙ্গি নেতার ভোল পালটানো শুরু হয়েছিল ২০১৪ সালের অক্টোবর মাস থেকেই। খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের পর কখনও সে মাথা কামিয়েছে। কখনও গোঁফদাড়ি ছেঁটে আপাদমস্তক চেহারা পালটেছে। কখনও বাংলাদেশ আবার কখনও নেপালে গিয়েও আশ্রয় নিয়েছে। কখনও সেজেছে নির্মাণ শ্রমিক। কখনও সেজেছে ব্যবসায়ী। খাগড়াগড়ের আদলে চেন্নাই শহর থেকে একটু দূরে তৈরি করেছে জেএমবির বিস্ফোরণ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। যদিও সে যে বেঙ্গালুরুর কাছে ঘাঁটি তৈরি করেছে, সেই খবর যাতে গোয়েন্দারা না পান, তার জন্য ঘনঘন পরিবার নিয়ে বাড়ি পালটেছে সে। একাধিকবার তার সন্ধানে গোয়েন্দারা হানা দেওয়ার আগেই ডেরা ছেড়ে উধাও হয়েছে মিজান। এর মধ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গায় জেএমবি-র ‘আমির’ সালাউদ্দিন সালেহিনকে সঙ্গে নিয়ে ফের জঙ্গি সংগঠন পোক্ত করার চেষ্টা করেছে সে। এমনকী, মুর্শিদাবাদে ফের তৈরি করেছে জেএমবি-র নতুন মডিউল। একের পর এক বৈঠক করেছে। দলাই লামা বুদ্ধগয়ায় পরিদর্শন করার সময়ই সেখানে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।

[শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, অভিযুক্তকে গণধোলাই]

গোয়েন্দাদের কাছে খবর, খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের পর বর্ধমান থেকে পালিয়ে ঝাড়খণ্ড ও এই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গা-ঢাকা দেয় সে। সঙ্গে ছিল তার পরিবারও। এর মধ্যে সে চোরাপথে বাংলাদেশেও যায় বলে খবর পেয়েছিলেন গোয়েন্দারা। আবার কখনও তাঁদের কাছে খবর আসে যে, উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের গ্রামে মউলি সেজে গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছে সে। আবার মেদিনীপুরেও মিজান রয়েছে বলে খবর পান গোয়েন্দারা। যদিও তার সন্ধানে একের পর এক হানা দেওয়ার পর ২০১৫ সালের মধ্যেই সে পালিয়ে যায় দক্ষিণ ভারতে। বেঙ্গালুরুর কাছে কোলার ও রামনগরায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে থাকতে শুরু করে। মূলত, নিজেকে ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দিত সে। আবার হায়দরাবাদে ব্যবসায়ী সেজে যোগাযোগ করেছে সেখানকার জঙ্গি নেতাদের সঙ্গে। সেই সূত্র ধরেই চেন্নাইয়ে প্রশিক্ষণকেন্দ্র তৈরি করেছিল সে। কেরলের সূত্র ধরে ২০১৬ সাল থেকে ফের ভোল পালটে মিজান কলকাতা হয়েই যাতায়াত শুরু করে মালদহ ও মুর্শিদাবাদে। কলকাতার মেটিয়াবুরুজ এলাকায়ও গা-ঢাকা দিয়েছিল সে। এর মধ্যে সালাউদ্দিনও এসে যোগাযোগ করে তার সঙ্গে। নতুন করে জেএমবির জন্য শুরু করে নিয়োগ।

মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে দলাই লামা বুদ্ধগয়া পরিদর্শনের সময় মিজানরা সেখানে বিস্ফোরণ ঘটায়। ওই সময় সে বুদ্ধগয়ায় ছিল। সেখান থেকে সে কয়েকজনকে নিয়ে নেপালে পালায়। কলকাতা পুলিশের হাতে কয়েকজন সঙ্গী গ্রেপ্তার হলে সে পালিয়ে যায় বেঙ্গালুরুতে৷

The post কেরলের বাঙালি কলোনিতে বড়সড় বিস্ফোরণের ছক ছিল বোমারু মিজানের appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement