সুকুমার সরকার, ঢাকা: বড় ধরনের অশান্তির ছক কষেই বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে ছদ্মবেশে অনুপ্রবেশ করে জামাত শিবিরের ক্যাডাররা। বাংলাদেশে নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল মারিয়া সিসতিয়াগা ওচহোয়া ডি চিনচিক্রুর সঙ্গে সাক্ষাতে একথাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কোটা সংস্কার আন্দোলনে এখনও পর্যন্ত মোট ১৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেই জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, “পুলিশ অতি উৎসাহী হয়ে কখনই গুলি করেনি। অনেক ধৈর্য ধরেছে। পরিস্থিতি একেবারে নিয়ন্ত্রণে বাইরে গেলে তবে গুলি চালাতে বাধ্য হয়।”
শেখ হাসিনা রবিবার স্পেনের রাষ্ট্রদূতকে জানান, জনগণের কল্যাণে কাজ করার পর সরকার যেগুলি তৈরি করেছে মূলত সেগুলিকে টার্গেট করেই হামলা চালায় নাশকতাকারীরা। যেমন কোভিড হাসপাতাল, মেট্রো রেল, এক্সপ্রেসওয়ে, সেতু ভবন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবন এবং ডেটা সেন্টারের কথা উল্লেখ করেন তিনি। সেনার ভূমিকার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "সেনাবাহিনীর সদস্যরা এই পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ ধৈর্য দেখিয়েছেন। আওয়ামি লিগের প্রায় ২১ জন হিংসায় নিহত হয়েছেন। আমি এ সময় দলীয় পরিচয় বিবেচনা করিনি। এখন ধীরে ধীরে সবকিছুর উন্নতি হচ্ছে।"
[আরও পড়ুন: ‘শান্ত সমুদ্রে তৈরি হয় না দক্ষ নাবিক’, অভিষেকের পোস্ট ঘিরে জল্পনা]
অপরদিকে, রাজধানী ঢাকার মীরপুর ১০ ও কাজিপাড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত দুটি মেট্রোরেল স্টেশন পুনরায় চালু করতে জাপানের কাছে সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরি প্রধানমন্ত্রীর অফিসে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গিয়ে তিনি এই সহায়তা চান। এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলার সময় হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত কাজিপাড়া ও মীরপুর ১০ স্টেশন আগামী এক বছরেও চালু করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন আওয়ামি লিগ সাধারণ সম্পাদক তথা সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বনানীতে ক্ষতিগ্রস্ত সেতু ভবন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান। জাপানের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেন, "তারা প্রথমে মেট্রো স্টেশনগুলির ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখবেন। এবং তার পর সিদ্ধান্ত নেবেন কীভাবে তারা বাংলাদেশের স্টেশনগুলি পুনরায় চালু করতে সাহায্য করতে পারেন।" কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্র করে দেশজুড়ে ব্যাপক হিংসায় হতাহতের ঘটনায় সমবেদনা জানান জাপানের রাষ্ট্রদূত।