সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “লড়াইটা সংবিধান বাঁচানোর। তাই এই লড়াইয়ের একমাত্র হাতিয়ার দেশপ্রেম।” এমনটাই বলছেন জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা (Jamia Millia Islamia)। বর্ষবরণের রাতে তাঁরা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় অভিনবত্ব এনেছেন। কোনওরকম হিংসা বা প্ররোচনা নয়, প্রতিবাদের ভাষা দেশপ্রেম। জাতীয় সংগীত গেয়ে, ভারত মাতার জয়গান করে বর্ষবরণ করেছে জামিয়া মিলিয়া।
মঙ্গলবারের এই বিক্ষোভ ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। জামিয়া-সহ গোটা দেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা পরিকল্পনা করেছিলেন, বর্ষবরণের রাতে গোটা বিশ্বকে বুঝিয়ে দিতে, ভারতে সংখ্যালঘুদের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। পূর্ব পরিকল্পনা মতোই সন্ধের পর থেকে জামিয়াতে জড়ো হতে থাকেন পড়ুয়ারা। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে শ’য়ে শ’য়ে পড়ুয়ার উপস্থিতিতে শোনা যায় ‘ভারত মাতা কি জয়’ ধ্বনি। গাওয়া হয় জাতীয় সংগীত। আর সেই সঙ্গে পড়ুয়াদের দীর্ঘদিনের পুরনো সেই আজাদির স্লোগান। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে গোটা জামিয়া এলাকায় প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল, ‘মোদি-শাহ সে আজাদি… তানাশাহ সে আজাদি’। শুধু জামিয়া নয়, দেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একইভাবে প্রতিবাদ করা হল সংশোধিত নাগরিকত্ব বিলের। যোগ দিয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও।
[আরও পড়ুন: গুজরাটের পঞ্চায়েত উপনির্বাচনে বড় জয় বিজেপির, ধরাশায়ী কংগ্রেস]
বর্ষবরণের রাতে প্রতিবাদের এই বহর অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই সীমাবদ্ধ ছিল না। দেশের একাধিক জায়গায় রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছে নাগরিক সমাজের একাংশ। দিল্লির শাগিনবাগে জামিয়া কাণ্ডের পর থেকেই মুসলিম মহিলারা অবস্থানে বসেছিলেন। প্রথমে সেই অবস্থান বিক্ষোভ ছোট হলেও, ধীরে ধীরে তা বহরে বেড়েছে। মুসলিমদের পাশাপাশি অন্য ধর্মের মহিলারাও উপস্থিত হয়েছেন। বর্ষবরণের রাতে শাহিনবাগের সেই অবস্থান মঞ্চ রীতিমতো উৎসবের মেজাজে সেজে উঠেছিল। নাচ-গান সবই হয়েছে। তবে, সবকিছুর মধ্যেই কোথাও যেন একটা প্রতিবাদের সুর চোখে পড়ল। আসলে শুধু শাহিনবাগ নয়, বর্ষবরণের রাতে গোটা রাজধানীই পার্টির বদলে প্রতিবাদে মেতেছে। এমনকী, ইন্ডিয়া গেটের সামনেও মোমবাতি হাতে প্রচুর মানুষকে দেখা গিয়েছে সিএএ-র প্রতিবাদ করতে। রাতের শীতলতা বিলীন হয়েছে, প্রতিবাদের উষ্ণতায়।
The post ‘সংবিধান বাঁচানোর লড়াই’, জাতীয় সংগীত গেয়ে বর্ষবরণ জামিয়া-সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে appeared first on Sangbad Pratidin.