সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোড়া থেকেই ইউক্রেনে (Ukraine) রাশিয়ার হামলার তীব্র নিন্দা করেছে জাপান। মিত্রদেশ আমেরিকার পাশে দাঁড়িয়ে মস্কোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে টোকিও। শুধু তাই নয়, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা পুতিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে মামলা চালানোর দাবিও জানিয়ে ফেলেছেন। তবে যুদ্ধে আপত্তি থাকলেও রুশ মাছে জাপানের (Japan) যে অরুচি নেই তা স্পষ্ট। এবার মত্স্য শিকার সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে দুই দেশ।
[আরও পড়ুন: প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে রাশিয়ার উপরে নির্ভরতা কমাক ভারত, নয়াদিল্লিকে কড়া বার্তা আমেরিকার]
রয়টার্স সূত্রে খবর, স্যামন ও ট্রাউট মাছ শিকার নিয়ে রাশিয়া ও জাপানের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। শনিবার জাপানের মৎস দপ্তর জানিয়েছে, রাশিয়ার নদীতে জন্মানো স্যামন ও ট্রাউট মাছ শিকারের বরাদ্দ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। এর ফলে নিজের ‘এক্সক্লুসিভ ইকোনোমিক জোন’ তথা ‘স্বতন্ত্র অর্থনৈতিক অঞ্চলে’ রাশিয়ায় জন্মানো ২ হাজার ৫০ টন স্যামন ও ট্রাউট মাছ শিকার করতে পারবেন জাপানি মৎসজীবীরা। এর জন্য রাশিয়াকে ফি বাবদ প্রায় ২০০ মিলিয়ন ইয়েন (১.৫৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) দেবে জাপান। গতবছরও মস্কো ও টোকিওর মধ্যে এই চুক্তি হয়েছিল। তবে এবছর ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়ে। যার জেরে জাপানের মৎসজীবীরা কিছুটা আশঙ্কায় ভুগছিলেন।
বলে রাখা ভাল, গোড়া থেকেই ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার তীব্র নিন্দা করেছে জাপান। মিত্রদেশ আমেরিকার পাশে দাঁড়িয়ে মস্কোর উপর নিষেধাজ্ঞা করেছে টোকিও। যার ফলে দুই দেশের মধ্যে পূর্বনির্ধারিত বেশ কিছু প্রকল্পের কাজ থেমে গিয়েছে। রূশিয়া ঠেকএ তেল ও গ্যাস আমদানিতেও রাশ টেনেছে টোকিও। সবমিলিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। প্রায় একপক্ষ কালের বেশি সময় ধরে ভয়াবহ যুদ্ধ চলছে দুই দেশের মধ্যে। এহেন পরিস্থিতিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে জব্দ করতে রাশিয়ার উপর একগুচ্ছ আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া, জাপান-সহ একাধিক দেশ। রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করাও বন্ধ করে দিয়েছে ওয়াশিংটন। শুধু তাই নয়, রাশিয়ার কয়েকটি ব্যাংককে আন্তর্জাতিক আর্থিক লেনদেনের ‘সুইফট’ ব্যবস্থা থেকে বাদ দেওয়া হয়। এর ফলে ওই ব্যাংকগুলি গোটা বিশ্বে আর কাজ করতে পারছে না। ধাক্কা খাচ্ছে রাশিয়ার আমদানি-রপ্তানি। ফলে জোর ধাক্কা খেয়েছে রুশ অর্থনীতি।