সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীঘ্রই ভারতে পা রাখতে চলেছে বুলেট ট্রেন। থুড়ি পা নয়, চাকা। জাপানে বুলেট ট্রেন তেমন নতুন কোনও বিষয় নয়। অনেক বছর ধরেই উদীয়মান সূর্যের দেশের শহর থেকে শহরে বুলেট ট্রেন বেশ জলভাত ব্যাপার। তবে এবার সেখানকার মানুষজনের চোখ কপালে তুলে দিতে নতুন এক ট্রেন চালু হল আমআদমির জন্য। ঘণ্টায় ৫০০ কিলোমিটার গতির এই ট্রেন চলছে চালক ছাড়াই! তাও আবার মাটি থেকে ১০ সেন্টিমিটার উপরে ভেসে। ভারতে অবশ্য যে বুলেট ট্রেন আসতে চলেছে তার গতি এমন আকাশ ছোঁয়া হবে না।
[দুধের শিশুকে ধর্ষণের পর গোপনাঙ্গে লাঠি, নির্ভয়া কাণ্ডের ছায়া গুরুগ্রামে]
শিনকানসেন। এই নামেই জাপানের উচ্চগতির এই ট্রেনকে চেনেন নিপ্পনের মানুষ। লম্বা একটা নাক। কতকটা পিনোচ্চিওর মতো। তবে মিথ্যে বললেই সেই নাক লম্বায় বেড়ে যায় না। দুর্ঘটনা ঘটলেও সেই লম্বা নাকে ঝামা ঘষে যায় না। কারণ দুর্ঘটনা ঘটেনি কখনও। তবে নতুন মডেলের এই শিনকানসেন মানে বুলেট ট্রেনটির জন্য অপেক্ষায় ছিলেন খাস জাপানের মানুষও। কারণ অবশ্যই তার গতি। রোজই যাঁরা বুলেট ট্রেনে চাপতে অভ্যস্ত তাঁদের জন্যও ঘণ্টায় ৫০০ কিলোমিটারের যাত্রা উত্তেজনা তৈরি করে। কারণ ট্রেনে নেই কোনও চালক। তাই আগেভাগেই ভিড় জমেছিল স্টেশনে। অনেকেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না বিশাল আকৃতির ওই ট্রেনটা সত্যিই ৫০০ কিলোমিটার গতিতে চালক ছাড়াই ছুটতে পারবে। তবে স্টেশনে ভিড় থাকলেও, ভারতীয় রেল স্টেশেনর মতো ভিড়ভাট্টা, হইচই কিংবা ঠেলাঠেলি ছিল না। সবাই সারিবদ্ধ হয়েই অপেক্ষা করছিলেন। শব্দও ছিল না মোটেই। হাত অবশ্য ছিল ক্যামেরার শাটারেই। বিশাল আকৃতির সেই যান্ত্রিক দানবের প্রতি প্রায় শ্রদ্ধাবনত হয়েই যেন অপেক্ষা ছিল সকলের।
ভারতের মাটিতে সবচেয়ে বেশি গতিতে চলা ট্রেনটির নাম গতিমান। রাজধানী দিল্লি থেকে উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসি পর্যন্ত চলে এই ট্রেন। ট্রেনটি ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে। দিল্লির হজরত নিজামউদ্দিন থেকে ঝাঁসি পর্যন্ত ৪০৩ কিলোমিটার পথ যেতে তার সময় লাগে চার ঘণ্টা ২৫ মিনিট। কিন্তু জাপানের বুকে হাকাতা থেকে কুমামোতো পর্যন্ত ৯২ কিলোমিটার পথ পেরোতে ‘শাকুরা’ শিনকানসেন নেয় মাত্র ৪০ মিনিট। মানে গড় গতিবেগ ২৬০ কিলোমিটারেরও বেশি। ভারতে প্রথম চালকবিহীন ট্রেন এসেছে মেট্রো রেলে। দিল্লি মেট্রোর ম্যাজেন্টা লাইনে প্রথম চলেছে চালকবিহীন ট্রেন। কিন্তু ভারতীয় যাত্রীরা চালকছাড়া গাড়িতে উঠতে ভয় পান বলে স্বয়ংক্রিয় মোটররুমেও একজন চালক বসিয়ে রাখার কথা ভেবেছে ভারতীয় রেল। কারণ এতে চালকের হাতে নিয়ন্ত্রণ না থাকলেও যাত্রীদের মানসিক স্বস্তি আর ভরসা কিছুটা ফিরবে। জাপানিরা অবশ্য মোটেই ভীতু নন। তাই চালকছাড়া ট্রেনে দিব্য রোজ চলাফেরা করেন। জাপানি ভাষায় এই ‘শাকুরা’ ট্রেনটির নামের মানে ‘চেরি ব্লসম’ মানে চেরি ফুল। ভারতের মাটিতেও শিগগিরই এই ফুল ফুটতে চলেছে।
The post ৫০০ কিমি গতির বুলেট ট্রেন, জাপানে ছুটছে চালকবিহীন ‘ম্যাগলেভ’ appeared first on Sangbad Pratidin.