সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামান্য হাঁচি, অল্প কাশি কিংবা হালকা গা গরম। তিনটের মধ্যে যেকোনও একটা উপসর্গ দেখা দিলেই হল। ব্যস প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই করোনাতঙ্কে কাঁটা। মনের কোণে দুশ্চিন্তার মেঘের ঘনঘটা। মন সঙ্গে সঙ্গেই বলতে শুরু করছে অদৃশ্য ভাইরাস বোধহয় করাল থাবা বসিয়েই দিল শরীরে। তবে দু’দিন পরে জানা যেতেই পারে যে আপনার আশঙ্কা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কিন্তু ততক্ষণে মানসিকভাবে আপনি হয়ে গিয়েছেন একজন করোনা রোগী। ভেবেচিন্তে নাজেহাল অবস্থা আপনার। তাছাড়া গৃহবন্দি জীবনের ফলেও বাড়ছে মানসিক উদ্বেগ। কিন্তু আর দুশ্চিন্তা নেই। কারণ, আপনার মানসিক উদ্বেগ দূর করবে ভূতেরা। অবাক লাগছে? ভাবছেন কঠিন পরিস্থিতিতেও মশকরা করা হচ্ছে? মোটেও না। চলুন তাহলে এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে জাপানের কোয়ারাগারাসেটাই সংস্থার উদ্যোগে তৈরি হয়েছে ‘স্কেয়ার স্কোয়াড’ (Scare squad)। ঠিক কীভাবে মানসিক উদ্বেগ দূর হবে আপনার? ওই সংস্থা সূত্রে খবর, একটি অন্ধকার ঘরে কফিনের মতো দেখতে সাড়ে ছ’ফুটের একটি বাক্স তৈরি করা হয়েছে। আপনি চাইলে ওই বাক্সের ভিতর শুয়ে পড়বেন। এবার ওই বাক্সের ভিতরে ঢুকে দেখতে পারবেন ভূতের সিনেমা। আপনার আশপাশ দিয়ে ঘুরে বেড়াবে ভূত। তারা আপনাকে ভয় দেখাবে। কখনও কখনও আপনি শরীরে তাদের স্পর্শ অনুভব করতে পারবেন। আবার হয়তো কখনও আপনার গায়ে ছোঁড়া হবে জল। তার ফলে ঠান্ডা অনুভব করবেন। এভাবে ১৫ মিনিট আপনি ওই কফিনবন্দি থাকতে পারবেন।
সংস্থার কো-অর্ডিনেটর কেন্টা ইওয়ানা বলেন, “এই পনেরো মিনিট আপনি বাইরের জগতের কথা একেবারেই ভুলে যাবেন। আর এভাবেই করোনা পরিস্থিতিতে তৈরি হওয়া মানসিক চাপও দূর হবে।”
[আরও পড়ুন: নর্দমায় ভেসে আসছে ১০০-৫০০’র নোট, নোংরা জলে টাকা কুড়নোর হুড়োহুড়ি মানুষের]
বন্দি জীবনে সত্যি একঘেয়ে হয়ে গিয়েছেন অনেকেই। তার ফলে বর্তমানে জাপানের (Japan) ‘স্কেয়ার স্কোয়াডে’ ভিড়ও জমছে ভালই। মাত্র ১৫ মিনিটের কফিনবন্দি জীবন উপভোগ করছেন অনেকেই। তাঁদের মতে, এই দমবন্ধ করা পরিস্থিতিতে ‘স্কেয়ার স্কোয়াড’ সকলেরই মন জয় করবে। করোনা পরিস্থিতিতে ‘স্কেয়ার স্কোয়াড’ই মানসিক অবসাদগ্রস্তদের বাঁচার অক্সিজেনের জোগান দেবে বলেই আশাবাদী ওই সংস্থাও।
[আরও পড়ুন: OMG! মাটি খুঁড়ে মিলল পেল্লায় সাইজের ২টি সোনার টুকরো, দাম জানলে চোখ কপালে উঠবে]
The post OMG! করোনা পরিস্থিতিতে আপনার মানসিক উদ্বেগ দূর করবে ভূতেরা, ব্যাপারটা কী? appeared first on Sangbad Pratidin.