সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সে ‘টুইটার কিলার’ (Twitter Killer)। সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ আত্মহত্যার ইচ্ছা প্রকাশ করলেই তাঁরা হয়ে উঠতেন তার ‘টার্গেট’। টুইটারের (Twitter) মাধ্যমে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করত সে। তারপর তাদের বাড়িতে ডেকে এনে নৃশংস ভাবে খুন করত! অবশেষে জাপানের (Japan) তাকাহিরো শিরাইশি নামের সেই বছর তিরিশের মানসিক বিকারগ্রস্ত খুনিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিল টোকিওর এক আদালত। এদিন তার সাজা ঘোষণার দিন আদালতে উপচে পড়েছিল ভিড়। আমজনতার জন্য যেখানে বরাদ্দ মাত্র ১৬টি আসন, সেখানে উপস্থিত ছিল ৪৩৫ জন!
ঠিক কী করত এই কুখ্যাত খুনি? অবসাদে ভোগা আত্মহত্যাপ্রবণ মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগের পর ‘টুইটার কিলার’ তাদের জানাত, সে তাঁদের সাহায্য করতে পারে নিজের জীবন শেষ করার ব্যাপারে। কিংবা কখনও এমনও বলত, সেও আত্মহত্যা করবে তাঁদেরই সঙ্গে। তার সেই ফাঁদে পা দিয়ে ফেললেই হত সর্বনাশ। অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেটে তাঁদের খুন করত তাকাহিরো। জানা গিয়েছে, এ পর্যন্ত মোট ন’জনকে খুন করেছে এই যুবক। একজন বাদে সকলেই কিশোরী অথবা তরুণী। বয়স ১৫ থেকে ২৬-এর মধ্যে।
[আরও পড়ুন: নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য রাজতন্ত্রের সমর্থনকারীদের সাহায্য করছেন ওলি, অভিযোগ নেপালি কংগ্রেসের]
আদালতে তাকাহিরোকে মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে কারাবাসের সাজা শোনানোর আরজি জানাতে থাকেন তাঁর আইনজীবীরা। তাঁদের যুক্তি ছিল, নিহতরা সকলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জীবন শেষ করে দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। নিজেদের মৃত্যুতে তাঁদের সায় ছিল। কিন্তু বিচারপতি জানিয়ে দেন, আক্রান্তদের কেউই তাকাহিরোকে খুন করার অনুমতি দেননি। এবং নীরব সম্মতিও নয়। এরপরই আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায়।
গত মাসে বিচার চলাকালীন আদালতে উপস্থিত ছিলেন এক নিহত তরুণীর বাবা। নিজের ২৫ বছরের মেয়ের মৃত্যুতে শোকাহত সেই ব্যক্তি জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘‘ওই লোকটাকে আমি ওর মৃত্যুর পরেও ক্ষমা করতে পারব না।’’ তাঁর এই আক্ষেপ যেন নতুন করে বুঝিয়ে দেয় তাকাহিরোর বীভৎস অপরাধের গভীরতা।