সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাঝেমধ্যেই স্ত্রী’র বায়না। স্বামীর কাছে নিত্যনতুন জিনিস কিনে দেওয়ার আবদার। এদিকে, লকডাউনে (Lockdown) কাজ চলে যাওয়ায় হাতে টাকাপয়সা নেই। শেষপর্যন্ত নিরুপায় হয়ে বাইক চুরির পথই বেছে নেয় সুরাটের (Surat) এক হিরে ব্যবসায়ী। আর এই কাজের জন্য শেষপর্যন্ত অবশ্য তাকে যেতে হল শ্রীঘরেই। সম্প্রতি সুরাটের উতরণ থেকে বাইকচোর ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারপরই সামনে এসেছে এই কাহিনি, যা জানতে পেরে অনেকেই অবাক।
জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম বলবন্ত চৌহান। সে সুরাটের উতরানের (Utran) বাসিন্দা। আগে হিরের কারিগর (Diamond Artisan) ছিল। কিন্তু করোনা আবহে (Corona Pandemic) কাজ চলে যায়। এর আগে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা রোজগার করলেও, তা বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে, স্বামীর রোজগার না থাকলে কী হবে, স্ত্রী’র চাহিদা দিনদিন বাড়তে থাকে। রোজদিনই কিছু না কিছু কিনে দেওয়ার বায়নাও করতে থাকে। শেষপর্যন্ত নিরুপায় হয়ে টাকা জোগাড় করতে চুরির পথই বেছে নেয় বলবন্ত। চুরি করতে থাকে একটার পর একটা বাইক। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। রবিবার পুলিশের জালে ধরা পড়ে সে। জেরায় নিজের দোষ কবুলও করে নেয়।
[আরও পড়ুন: বারাণসী–প্রয়াগরাজ হাইওয়ে প্রকল্পের সূচনা মোদির, কৃষি আইনের পক্ষেও করলেন সওয়াল]
পুলিশ জানিয়েছে, কাপোদারা, ভারাচা, আমরোলি এবং কাটাগ্রাম থেকে ৩০টিরও বেশি বাইক চুরি করেছিল বলবন্ত। বেশিরভাগই উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাইকগুলো মূলত হিরের দোকান বা শপিং মলের সামনে থেকে চুরি করত ওই ব্যক্তি। নিজে হিরের কারিগর হওয়ায় কোন সময় কর্মীরা কাজে আসেন, ভিড় বেশি হয় – এই সমস্ত কিছুই তার নখদর্পণে ছিল। সেই মতো পরিকল্পনা করেই চুরি করত বলবন্ত। তদন্তে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, এর আগেও বাইক চুরি করেছে সে। আদতে ভাবনগর জেলার জালিয়া গ্রামের বাসিন্দা বলবন্ত ২০১৭ সাল থেকেই টুকটাক বাইক চুরিতে হাত পাকিয়েছিল। ২০১৯ সালেও চারটি বাইক চুরি করেছিল। কিন্তু ২০২০ সালে কাজ চলে যাওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ২০টিরও বেশি বাইক চুরি করেছে সে।