সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুই দশক পর সম্পর্ক জোড়া লেগেছিল। ২০২২ সালে লাস ভেগাসে গিয়ে বিয়েও করেছিলেন। কিন্তু বছরদুয়েকের মধ্যেই বেন অ্যাফলেক ও জেনিফার লোপেজের সুখের সংসারে ভাঙন। খবর বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। এবার গুঞ্জন, বেনের থেকে ডিভোর্স চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মার্কিন পপস্টার।
২০০২ সালের মাঝামাঝি প্রথমবার বেন অ্যাফ্লেক ও জেনিফার লোপেজের প্রেমের গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। ২০০৩ ও ২০০৪ সালেই মুক্তি পেয়েছিল বেন ও জেনিফারে ছবি ‘গিগলি’ ও ‘জার্সি গার্ল’। সেই সময় বিয়েও পাকা হয়ে গিয়েছিল। আচমকাই ছন্দপতন। ব্রেকআপের সিদ্ধান্ত তারকা যুগল। তার পর অবশ্য বন্ধুত্ব ছিল।
[আরও পড়ুন: বিয়ের দুমাসের মধ্যেই ফ্ল্যাট বেচার বিজ্ঞাপন! হল কী সোনাক্ষীর? ]
বেনের সঙ্গে ব্রেকআপের পর মার্ক অ্যান্থনিকে বিয়ে করেন জেনিফার। এদের দু’ জনের দুই সন্তানও রয়েছে। অন্যদিকে, বেন বিয়ে করেন জেনিফার গার্নারকে। এঁদেরও রয়েছে তিন সন্তান। দু’জনের সেই সম্পর্কও টেকেনি। জেনিফার আবার অ্যালেক্স রডরিগেজের প্রেমে পড়েন। বেন সেই সময় আনা দে আর্মাসের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছিলেন। কিন্তু বিধির বিধানে অন্য কিছু লেখা ছিল।
২০২১ সালে আবারও বেন ও জেনিফারকে একসঙ্গে দেখা যায়। ২০২২ সালে বাগদান সারেন দুজন। তার পর লাস ভেগাসের বিয়ে। কিন্তু অল্প সময়েই দুজনের মধ্যে দূরত্ব বাড়ে। একটা সময়ের পর ক্যামেরার সামনে আর একসঙ্গে পোজ দিতেন না তারকা দম্পতি। শোনা যায়, একসঙ্গে থাকার জন্য যে ফ্ল্যাট তাঁরা কিনেছিলেন তা বিক্রি করে দিয়েছেন। তার বদলে বেন অন্য একটি ফ্ল্যাটে গিয়ে উঠেছেন। এক সময় শোনা গিয়েছিল, আলাদা থেকে নিজেদের সম্পর্ককে আরেকটি চান্স দিতে চান বেন ও জেনিফার। কিন্তু এখন নাকি তিক্ততা এতটাই চরমে পৌঁছেছে আমেরিকার আদালতে বিচ্ছেদ চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন পপস্টার। প্রসঙ্গত, জেনিফারের এটি চতুর্থ বিয়ে ছিল আর বেনের দ্বিতীয়।