সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বকেয়া টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। বহু চিঠিচাপাটিতেও ফল হয়নি। যদি সরকার টাকা না দেয় তাহলে ঘিরে ফেলা হবে কয়লাখনি। এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemanta Soren)।
ঠিক কী বলেছেন তিনি? তাঁর দাবি, তাঁর রাজ্য কয়লা সহ বিভিন্ন খাতে ১.৩৬ লাখ কোটি টাকা পায় কেন্দ্রের কাছে। কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীর কাছে এই নিয়ে চিঠি লিখেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রের তরফে সাড়া মেলেনি।
শনিবারই একটি চিঠি প্রকাশ্যে এনেছেন হেমন্ত। কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রককে লেখা সেই চিঠিতে তাঁকে বারবার অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছে যে, মন্ত্রক ও নীতি আয়োগের কাছে বারবার আবেদন করা সত্ত্বেও ফল মেলেনি।
[আরও পড়ুন: পরা যাবে না ছেঁড়া জিনস, কলকাতার কলেজের নয়া পোশাক ফতোয়া নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক!]
শুক্রবার বিধানসভার বাজেট সেশনে হেমন্ত পরিষ্কার জানিয়েছিলেন, রাজ্যের অধিকাররক্ষায় তাঁর সরকার সদা তৎপর। প্রয়োজনে জোর করে হলেও সেই অধিকার রক্ষা করার চেষ্টা করবেন তিনি। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ”যতদিন যাবে তত এই পরিমাণ বাড়বে। যদি কেন্দ্র শেষ পর্যন্ত টাকা না দেয়, তাহলে আমাদের তা ছিনিয়ে নিতে হবে। আমাদের অধিকার যদি রক্ষিত না হয় আমরা কয়লাখনির চারদিকে ব্যারিকেড লাগিয়ে দেব।” স্বাভাবিক ভাবেই এমন হুঁশিয়ারি ঘিরে আশঙ্কার আবহ তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য়, যদি সত্যিই শেষ পর্যন্ত কয়লা খনির চারদিক ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়া হয় ঝাড়খণ্ডে, তাহলে কয়লা সংকটের আশঙ্কা বাড়বে। গত বছরই ভারতকে এই ধরনের সংকটের মুখে পড়তে হচ্ছিল। এর প্রধান কারণ ছিল চাহিদার তুলনায় কয়লা উৎপাদনে ঘাটতি। দেশের ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় কয়লা পরিচালিত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে। হেমন্তের হুঁশিয়ারি সত্যি হলে ফের কয়লা সংকটের আশঙ্কা বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।