সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: না! ওখানে বিকাশ পৌঁছায়নি৷ উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি ঝাড়খণ্ডের প্রত্যন্ত গ্রামে৷ মাওবাদী আতঙ্কের জিগির তুলে সরকারও হাত তুলে দিয়েছে অনেক আগেই৷ ফলে, দীর্ঘ অবহেলায় ক্রমাগত নেই রাজ্যের বাসিন্দা হয়ে উঠেছে লাতেহার জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা৷ সরকারি পরিষেবা না পেলেও প্রাণ হতে নিয়ে প্রতিদিনের জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন মাও অধ্যুষিত জোরাম আদিবাসী এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দা৷ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোমর জল ঠেঙিয়ে প্রতিদিন পেরতে হয় সুকরি নদী৷
[নাবালিকা ধর্ষণে নয়া আইন পাশের পর প্রথম মৃত্যুদণ্ডের রায় মধ্যপ্রদেশের আদালতের]
স্বাধীনতার ৭১ বছর পরও জোটেনি পাকা সেতু৷ গড়ে ওঠেনি স্বাভাবিক যোগাযোগ ব্যবস্থা৷ শহরের যাওয়ার একমাত্র পথের মূল বাধা নদী৷ কোমর সমান জলে নেমে নদী পার না হলে নতেহার শহরে পৌঁছানো কার্যত অসম্ভব৷ তবুও, পেটের টানে-রুজু-রুটির জন্য ১২ মাস নদী ডিঙিয়ে হত বাসিন্দাদের৷ জরুরি প্রয়োজনেও একই ভাবে পেরতে হয় নদী৷ হাসপাতাল, স্কুল, কলেজে যেতে গেলেও নদীর পেরনো ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই আদিবাসী অঞ্চলের বাসিন্দাদের৷
[বুরহান ওয়ানি হত্যার দু’বছর, নিরাপত্তার খাতিরে স্থগিত অমরনাথ যাত্রা]
ভোট আসে ভোট যায়৷ কিন্তু, বদলায় না পরিস্থিতি৷ স্থানীয় প্রশাসনের কোনও হেলদোল না থাকলেও বর্ষা আসতেই সিটিয়ে গোটা গ্রাম৷ কারণ, বর্ষার জাল বাড়লেই নদী পারাপার কার্যত বন্ধ হয়ে পড়ে৷ বর্ষার জলে নদী ফুঁসতে শুরু করতেই প্রতিবছরই গৃহবন্দি হয়ে থাকতে হয় স্থানীয়দের৷
চারদিনের ভারত সফরে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট, হবে কূটনৈতিক আলোচনা
বহুকাল আগেই এলাকায় একটি সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় স্থানীয় প্রশাসন৷ কিন্তু, মাও অধ্যুষিত এলাকা হওয়ার অজুহাত তুলে সরকারি টেন্ডারে অংশ নেয়নি কোনও নির্মাণ সংস্থা৷ ফলে, শুরুতেই থমকে যায় প্রকল্প৷ সেতু নির্মাণের জন্য বরাদ্দ অর্থ ফিরে যায় সরকারের খাতায়৷ প্রশাসনিক উদ্যোগের অভাবে এখনও সেতুহীন গোটা আদিবাসী গ্রাম৷ ফলে, অগত্যা এক কোমর জল ঠেঙিয়ে প্রতিদিন চলে ঝুঁকির পারাপার৷