সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা নিটের তদন্তে নেমে সিবিআইয়ের জালে আরও ৩ অভিযুক্ত। প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে তদন্তে এবার ঝাড়খণ্ড থেকে এক স্কুলের প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করলেন গোয়েন্দারা। পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরও দুজনকে। সূত্রের খবর, তাঁদের এক জন স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক ও অন্যজন সাংবাদিক। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ গাড়িতে তুলে অভিযুক্তদের নিয়ে যান গোয়েন্দারা। সিবিআইয়ের সঙ্গে ছিল একটি কালো ব্রিফকেস। অনুমান করা হচ্ছে, ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র ছিল ওই বাক্সে।
গত ৫ মে দেশের প্রায় সব রাজ্যে আয়োজিত হয় নিট পরীক্ষা। ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগে একটি স্কুলে শিট পড়েছিল পরীক্ষার। সেখানে কোঅর্ডিনেটর ছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক এহসান উল হক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক ইমতিয়াজ। প্রাথমিক তদন্তে প্রশ্নফাঁসে এই দুই অভিযুক্তের যোগ পায় সিবিআই। সেইমতো তদন্তে নেমে প্রায় ৬০ ঘণ্টা ধরে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। এর পর শুক্রবার গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তকে। পাশাপাশি আরও ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় এই মামলায় যুক্ত সন্দেহে। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সিবিআইয়ের তরফে কিছু জানানো হয়নি।
[আরও পড়ুন: ‘ষড়যন্ত্র করে ৫ মাস আটকে রেখেছিল’, জেল থেকে বেরিয়েই তোপ হেমন্তের]
উল্লেখ্য, নিট প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে প্রথম বিহার পুলিশকে খবর দিয়েছিল ঝাড়খণ্ড পুলিশ। সেই সূত্রেই পরীক্ষার আগের রাতে বিহার পুলিশ গ্রেপ্তার করে একাধিক অভিযুক্তকে। এর পর পরীক্ষায় ৬৭ জনের প্রথমস্থান অধিকার ও একাধিক কেলেঙ্কারির তথ্য প্রকাশ্যে আসে। পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামেন পড়ুয়ারা। রীতিমতো চাপের মুখে পড়ে নিটের আয়োজক সংস্থা এনটিএর চেয়ারম্যানকে সরানোর পাশাপাশি গোটা ঘটনার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় সিবিআইয়ের হাতে।
[আরও পড়ুন: ‘পলটুরাম’ নীতীশে ক্ষুব্ধ বিহার বিজেপি! বিধানসভায় একা লড়ার দাবি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর]
তদন্তে নেমে বিহার, গুজরাট, মহারাষ্ট্রেও প্রশ্নফাঁসের যোগ পান তদন্তকারীরা। গ্রেপ্তার করা হয় একাধিক অভিযুক্তকে। গোটা ঘটনায় ঝাড়খণ্ডের যোগ পেয়ে সেখানেও তদন্তে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এবার সেখান থেকেই ৩ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করলেন সিবিআই আধিকারিকরা। তবে এই ঘটনায় যেভাবে দেশের নানা প্রান্তে প্রশ্নফাঁসের জাল ছড়িয়েছে তা দেখে বিস্মিত খোদ তদন্তকারী আধিকারিকরা।