সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: একুশের লড়াই যতই এগিয়ে আসছে ততই জোরাল হচ্ছে শাসক-বিরোধী তরজা। কখনও আবার সরাসরি প্রতিপক্ষকে দলবদলের প্রস্তাব দিয়ে বসছেন কেউ কেউ। জনসভা থেকে এবার তেমনটাই করলেন আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে আহ্বান জানালেন তৃণমূলে। পালটা দিলেন বাবুলও।
সোমবার আসানসোলের মেয়র তথা পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নিজের এলাকায় একটি জনসভা করেন। সেখান থেকেই সরাসরি বাবুল সুপ্রিয়কে (Babul Supriyo) আক্রমণ করেন তিনি। দাবি করেন, বিজেপি সাংসদ ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, গেরুয়া শিবিরে তাঁর একেবারেই ভাল লাগছে না। মন টিকছে না। কারণ সেখানে বাঙালি কালচার নেই। এরপরই বাবুলকে তৃণমূলে যোগদানের পরামর্শ দেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। স্বাগতও জানান। পালটা দিয়েছেন সাংসদ। এ বিষয়ে বাবুল সুপ্রিয় ‘সংবাদ প্রতিদিন’কে জানান, “কয়লা মাফিয়াদের ডেরায় হানায় ভয় পেয়ে গেছে। এটাকে ইংরেজিতে ‘ভাইরাল ডাইরিয়া’ বলে। নির্বোধ রাজনীতিবিদ। আমার নাম ব্যবহার করে সস্তা জনপ্রিয়তার রাস্তা খুঁজছে। আমার গাওয়া ‘পাগলে কিনা বলে, ছাগলে কিনা খায়’ গানটি ওকে ডেডিকেটে করলাম।”
[আরও পড়ুন: ‘আমরা দাদার অনুগামী’, জেলায় জেলায় শুভেন্দুকে নিয়ে পোস্টারে আরও জোড়াল দলবদলের জল্পনা]
শাসক-বিরোধী দ্বন্দ্ব, আক্রমণ, পালটা আক্রমণ নিত্য লেগেই থাকে। ভোট কাছে আসতেই তীব্রতা বাড়ে আক্রমণের। আর এবার ভোটের আগে শুভেন্দু অধিকারী, মিহির গোস্বামীর মতো নেতাদের দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি, লাগাতার দলেরই নেতাদের পিকে ও নেতা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশকে কাজে লাগানোর মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে পদ্মশিবির। তাই চড়ছে উত্তেজনার পারদও। পালটা দিচ্ছে ঘাসফুল শিবিরও।