অর্ণব আইচ: রাজ্যে ক্রমে আকারে বাড়ছে জেহাদের বিষবৃক্ষ। পড়শি বাংলাদেশ থেকে এরাজ্যে শিকড় মজবুত করছে জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (JMB)। নিরাপত্তা মহলে আশঙ্কা জাগিয়ে বীরভূম থেকে ধৃত জেএমবি জঙ্গির ল্যাপটপ খতিয়ে দেখে রাজ্যে বেশ কিছু স্লিপার সেলের হদিস পেয়েছে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (STF)।
[আরও পড়ুন: ভারতীয় ফৌজের শিখ জওয়ানদের উসকানি দিচ্ছে খলিস্তানিরা, জানাল NIA]
গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সন্ধেয় বীরভূমের পাইকর থানা এলাকার কাবিলনগর থেকে জেএমবি জঙ্গি নাজিবুল্লাকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। গ্রেপ্তারির পাশাপাশি দুটো ল্যাপটপ, তিনটে স্মার্টফোনও ১১টা পেনড্রাইভ-সহ বেশ কয়েকটি ইলেকট্রনিক গেজেট বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। ওই এলাকায় ছাপাখানা লাগোয়া একটি ছোট্ট চায়ের দোকান রয়েছে নাজিবুল্লার। তার সঙ্গে দিনরাত দেখা হত এলাকার মানুষের, সে জঙ্গি কার্যকলাপে জড়িত তা ভাবতেই পারছেন না প্রতিবেশীরা। এহেন জঙ্গির ল্যাপটপ ও পেন ড্রাইভ খতিয়ে দেখে চোখ কপালে ওঠেছে গোয়েন্দাদের। জানা গিয়েছে, ল্যাপটপ থেকে জঙ্গি সংগঠনটির অত্যন্ত গুরুতপূর্ণ সদস্যের নাম এর তালিকা পাওয়া গিয়েছে। শুধু তাই নয়, এরাজ্যে জেএমবি’র স্লিপার সেলের লিস্ট ও সদস্যদের নামও হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। ইলেকট্রনিক সরঞ্জামগুলিকে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে কোথাও জঙ্গি হানার ছক কষছিল কি না নাজিবুল্লা, তা জানতে তাঁকে জেরা করছেন গোয়েন্দারা।
উল্লেখ্য, খাগড়াকাণ্ডের পর থেকেই এসটিএফের নজরে ছিল বীরভূমের পাইকর থানা এলাকার কাবিলনগরের বাসিন্দা নাজিবুল্লা। তাকে নোটিসও দেওয়া হয়েছিল। মাস খানেক আগে এসটিএফের তরফে যোগাযোগ করা হয় পাইকর থানার সঙ্গে। জানানো হয়, সাকিব আলি নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রয়েছে নাজিবুল্লার। সেখান থেকে দেশবিরোধী নানা প্রচারের অভিযোগও ওঠে ধৃতের বিরুদ্ধে। পাইকর থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়, নাজিবুল্লার আচরণের উপর নজর রাখতে। এরপর বৃহ্স্পতিবার বীরভূমের কাবিলনগরে পৌঁছয় এসটিএফের আধিকারিকরা। গ্রেপ্তার করে সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে।