সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রসিডেন্ট পদ ছাড়ার আগেও বিতর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্প। নানা অজুহাত দেখিয়ে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার বিশেষ বিলে (COVID Aid Bill) স্বাক্ষর করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁর এই পদক্ষেপের ফল হবে ভয়াবহ, প্রতিক্রিয়া সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বিডেনের (Joe Biden)। তাঁর কথায়, দেড় কোটি মার্কিনি ব্যাপক সমস্যায় পড়বেন।
করোনা বিশেষ বিল সংশোধনের দাবি তুলে স্বাক্ষর না করার কথা জানিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরই বিডেনের প্রতিক্রিয়া, “এর ভয়াবহ প্রভাব পড়বে। প্রায় দেড় কোটি বেকার মার্কিনি বেকার-ভাতা থেকে বঞ্চিত হবেন।” তিনি আরও জানান, “আর মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে সরকারি সহায়তা বন্ধ হয়ে যাবে। এর ফলে বহু জরুরি পরিষেবা, সেনাবাহিনীর খরচ-খরচা আটকে যাবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বেকার ভাতার জন্য সরকারি সাহায্য বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে উৎসবের মরশুমে দেড় কোটি যুবক-যুবতীর পরিবারকে বিপদের মুখে ফেলে দেওয়া হল।”
[আরও পড়ুন : করোনা মোকাবিলায় বিশেষ বিলে সই করলেন না ট্রাম্প, বিপাকে প্রায় দেড় কোটি মার্কিনি]
ট্রাম্পের এই হঠকারি সিদ্ধান্তের প্রভাব নিয়ে বলতে গিয়ে বিডেন আরও জানান, “এই বিলে স্বাক্ষরে দেরি হওয়ার অর্থ ছোট ব্যবসায়ীদের খাদে ঠেলে দেওয়া। এই বিলে স্বাক্ষর না করার অর্থ এই শীতে তাঁদের আর্থিক সাহায্য বন্ধ হয়ে যাওয়া। ফলে এই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠা তাঁদের কছে আরও কঠিন হয়ে যাবে। মহামারী পরিস্থিতিতে আমেরিকাদের সরাসরি আর্থিক সাহা্য্যের প্রয়োজন। বিলে স্বাক্ষর দেরি হওয়ার অর্থ, এই সাহায্য পেতে দেরি হওয়ায়।”
চলতি বছরের শুরুতেই করোনার (Corona Pandemic) গ্রাসে চলে যায় গোটা বিশ্ব। সংক্রমণ রুখতে জারি হয় লকডাউন। বন্ধ হয়ে যায় সমস্ত কিছু। গৃহবন্দি হয়ে পড়েন সাধারণ মানু্ষ। গোটা বিশ্বের মতো মার্কিন মুলুকেও কাজ হারান অনেকে। বেকার হয়ে পড়া যুবক–যুবতীদের সঞ্চয়ও ফুরিয়ে আসতে থাকে। অনেকেই ধারদেনাও করেন। এই অবস্থায় তাঁদের সাহায্যের জন্য এই বিল আনার কথা ভাবা হয়। এতে মার্কিন বেকার যুবক–যুবতীরা ৬০০ ডলার করে মাসে আর্থিক সাহায্য পেতে পারতেন।
[আরও পড়ুন : ওলি-প্রচণ্ড সংঘাতে ভাঙনের মুখে দল, পরিস্থিতি সামাল দিতে নেপালে প্রতিনিধি পাঠাচ্ছে চিন]
দীর্ঘদিন তর্ক-বিতর্কের পর রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাটিক দল অতিমারী সাহায্যকল্পের এই তহবিলে সম্মত হয়। আপত্তি জানাননি ট্রাম্পও। কিন্তু এখন আচমকাই তাঁর মনে হয়েছে এর বিলে বিশেষ স্বার্থ, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড এবং বিদেশে আর্থিক সাহায্যের জন্য অত্যধিক অর্থ খরচ করা হচ্ছে। পাশাপাশি তাঁর দাবি, ৬০০ ডলার নয়, সবাইকে ২০০০ ডলার দিতে হবে। এই অজুহাতে এই বিলে স্বাক্ষর করলেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প।