সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বহু বিতর্কের পর প্রকাশ্যে এসেছে ইলেক্টোরাল বন্ডের (Electoral Bond) তথ্য। কিন্তু সেই তথ্যে ভ্রান্তি রয়েছে, এমনই দাবি করেছিলেন সাংবাদিক পুনম আগরওয়াল। সোশাল মিডিয়ায় তাঁর পোস্ট ঘিরে শোরগোল পড়েছিল। কিন্তু অবশেষে সেই সাংবাদিক স্বীকার করলেন, তিনি ভুল করে এই দাবি করেছেন।
ঠিক কী বলেছিলেন ওই মুক্ত সাংবাদিক? তাঁকে দাবি করতে দেখা গিয়েছিল, যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তাতে ভুল আছে। উনি ১ হাজার টাকার দুটি বন্ড কিনেছিলেন ২০১৮ সালের এপ্রিলে। কিন্তু কমিশনের প্রকাশ করা তথ্য, যা ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে, সেখানে তাঁর বন্ড কেনার তারিখ দেখানো হচ্ছে ২০ অক্টোবর, ২০২০।
[আরও পড়ুন: ভোটের আগেই বড় ধাক্কা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার, বিজেপিতে যোগ হেমন্তের ভ্রাতৃবধূর]
কিন্তু এবার নতুন পোস্টে তিনি জানাচ্ছেন, ২০২০ সালের অক্টোবরে তিনি দুটি বন্ড কিনেছিলেন। এপ্রসঙ্গে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমার খারাপ স্মৃতিশক্তিকে কেউ দায়ী করতেই পারেন। ২০২০ সাল ছিল কোভিডের বছর। অনেক কিছুই ঘটেছিল। আর তাই এটা আমার মনেই ছিল না। নিজের খারাপ স্মৃতিশক্তির জন্য আমি ক্ষমা চাইছি।’
বলে রাখা ভালো, ২০১৮ সালে প্রথম মোদি সরকারের আমলেই আত্মপ্রকাশ করে ইলেক্টোরাল বন্ড। যা ব্যক্তি ও সংস্থা, যে কেউই কিনতে পারত রাজনৈতিক দলগুলিকে অনুদান দেওয়ার জন্য। গত জানুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্ট এসবিআইকে নির্দেশ দেয়, সমস্ত তথ্য প্রকাশ করতে হবে। অবশেষে সম্প্রতি বহু বিতর্কের পর প্রকাশ্যে এসেছে ইলেক্টোরাল বন্ডের তথ্য। আর সেই তথ্যে দেখা যাচ্ছে বিরোধীদের অভিযোগই সত্যি। ‘অসাংবিধানিক’ এই বন্ড থেকে সবচেয়ে বেশি চাঁদা পেয়েছে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপিই (BJP)। সব মিলিয়ে ৮২৫২ কোটি টাকার চাঁদা পেয়েছে তারা। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের প্রাপ্ত চাঁদা ১৩৯৭ কোটি টাকা। তৃতীয় স্থানে কংগ্রেস। তাদের চাঁদা ১৩৩৪ কোটি টাকা।