shono
Advertisement

Coronavirus: করোনার বাড়বাড়ন্ত, বন্ধ শতাব্দী প্রাচীন বীরভূমের জয়দেবের মেলা

জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তে মন ভাল নেই স্থানীয়দের।
Posted: 09:56 AM Jan 08, 2022Updated: 01:14 PM Jan 08, 2022

ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে বঙ্গের করোনা (Coronavirus) গ্রাফ। ভাইরাসের দাপট রুখতে রাজ্যে জারি কড়া বিধিনিষেধ। এই পরিস্থিতিতে এক জায়গায় বহু মানুষের জমায়েতের জন্য  বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সে সমস্ত কথা মাথায় রেখে করোনা আবহে এবার বাতিল বীরভূমের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী জয়দেব কেন্দুলি মেলা। জেলা প্রশাসনের তরফে শুক্রবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। তবে মেলা পুরোপুরি বন্ধ থাকলেও অল্প সংখ্যক মানুষ অজয় নদে স্নান করার সুযোগ পাবেন।

Advertisement

বীরভূমের ইলামবাজার ব্লকের জয়দেব পঞ্চায়েতে অজয় নদের পাড়ে জয়দেব কেন্দুলি গ্রামে বসে এই মেলা। এখানেই কবি জয়দেব জন্মগ্রহণ করেছিলেন।বারো-তেরো শতকে রাজা লক্ষ্মণ সেনের সভাকবি ছিলেন কবি জয়দেব। তিনি সংস্কৃতে “গীত গোবিন্দ” রচনা করেছিলেন। সে সময় মূলত তাঁর উদ্যোগেই জয়দেব-কেন্দুলি সংস্কৃতি কেন্দ্র হিসাবে গড়ে ওঠে। বিভিন্ন ধর্মের আলোচনার পাশাপাশি ধর্মপ্রচারের কেন্দ্র হিসাবে পরিচিতি পেয়েছিল জয়দেব-কেন্দুলি। তৈরি হয়েছিল একাধিক মঠ।

[আরও পড়ুন: চোখ রাঙাচ্ছে করোনা, সংক্রমণ রুখতে সপ্তাহে তিনদিন বন্ধ দুই ২৪ পরগনার এই বাজারগুলি]

পরে বর্ধমানের মহারানি ব্রজকিশোরীর উদ্যোগে ১৬৮৩ সালে জয়দেবে রাধবিনোদ মন্দির তৈরি করা হয়। প্রতি বছর মকর সংক্রান্তিতে জয়দেব মেলা (Joydev Kenduli Mela) বসে। নানা প্রান্তের কয়েক হাজার বাউল, ফকির এই মেলাতে ভিড় জমান।শতাব্দী প্রাচীন এই মেলার বৈশিষ্ট্য, এখানে শুধুমাত্র ধর্মপ্রচারের লক্ষ্যে নানা ধর্মের মানুষ আসেন। মেলার বড় অংশজুড়ে বসে একাধিক আখড়া। মেলার কয়েকদিন ধরে চলে ধর্ম প্রচার এবং আলোচনা। বাউল, কীর্তন এবং সুফি গানের আসরে ভিড় জমান দেশ, বিদেশ থেকে আসা হাজার হাজার মানুষ। বিভিন্ন আখড়াতে বিনামূল্যে মেলে দু’বেলা ভোগ।

তবে শুক্রবার প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, করোনার কোপে এবার সেই মেলা হচ্ছেন না। প্রতি বছর মকর সংক্রান্তিতে ভোরবেলা জয়দেবের অজয় নদে হাজার পুণ্যার্থী ভিড় জমান। তাঁদের জন্য অজয় ঘাট তৈরি করে প্রশাসন। এবারও স্নানের বন্দোবস্ত থাকবে। তবে তা অন্যান্যবারের মতো নয়। খুব কম সংখ্যক মানুষের জন্য ব্যবস্থা করা হবে। মেলা বাতিল হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই মন ভাল নেই স্থানীয়দের। তরুণ মণ্ডল বলেন, “সারা বছর আমরা মেলার জন্য অপেক্ষা করে থাকি। প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ আসেন এই মেলায়। এলাকার অর্থনীতি মেলার উপর অনেকটা নির্ভর করে। তাই মেলা বন্ধ হলে সমস্যা তো হবেই।” উল্লেখ্য, জয়দেবের মেলা বন্ধ ঠিকই। তবে শর্তসাপেক্ষে গঙ্গাসাগর মেলার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের। গঙ্গাসাগর মেলার জমায়েতের জেরে করোনা ভয়াবহ আকার নেবে না তো, আশঙ্কার প্রহর গুনছেন বিশেষজ্ঞরা।

[আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় গৃহবধূদের নিয়ে তৈরি ‘মহিলা গ্যাং’য়ের দৌরাত্ম্য, চলন্ত গাড়ি থেকে চলছে লুটপাট]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement