সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীত্বের পর আরও একটি পুরস্কার পেলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। বিজেপির রাজ্যসভার দলনেতা পদে নিযুক্ত হলেন তিনি। এতদিন এই পদে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। তিনি লোকসভা থেকে সাংসদ হওয়ায় রাজ্যসভায় তাঁর শূন্যস্থানে আনা হল নাড্ডাকে।
গুজরাট থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবার রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছে জেপি নাড্ডা। সাংসদ হওয়ার পর তৃতীয় এনডিএ সরকারে মন্ত্রিসভায় তাঁকে স্বাস্থ্য এবং রাসায়নিক ও সার মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ৯ জুন রাজভবনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন তিনি। মন্ত্রীত্বের পর রাজ্যসভার দলনেতা হলেন নাড্ডা। এদিকে নাড্ডা রাজ্যসভায় আসার পর রাজনৈতিক মহলের দাবি, শীঘ্রই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেবেন তিনি। তাঁর জায়গায় সভাপতি কে হবেন সে দিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানে চরম নির্যাতনের শিকার সংখ্যালঘুরা, সংসদে মানল শাহবাজ সরকার]
যদিও বিজেপি সভাপতি নির্বাচন আরও বেশ কয়েক মাসের অপেক্ষা বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। কারণ বিজেপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, অন্তত ৫০ শতাংশ রাজ্যে সাংগঠনিক নির্বাচন না হলে নতুন সভাপতি হিসাবে কাউকে নির্বাচিত করা যায় না। সেই হিসেব অনুযায়ী বিজেপি সভাপতি নির্বাচন হতে পারে ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে। ফলে আপাতত দলীয় সংগঠনের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রক ও রাজ্যসভা তিন দিকেই নজর রাখতে হবে জে পি নাড্ডাকে। ঘটনাচক্রে রাজ্যসভায় কংগ্রেসের দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি নিজেও কংগ্রেস সভাপতি। ফলে এবার রাজ্যসভায় দুই সভাপতির দ্বন্দ্ব দেখবে দেশ।
[আরও পড়ুন: বিদায় ওয়ানড়, অধিবেশনের প্রথম দিন সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা রাহুলের]
উল্লেখ্য, আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-র মাধ্যমে রাজনৈতিক হাতেখড়ি জেপি নাড্ডার। ১৯৯৩, ১৯৯৮ এবং ২০০৭ সালে হিমাচলের বিলাসপুর কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৯৮ থেকে থেকে ২০০৩ পর্যন্ত তিনি হিমাচলের স্বাস্থ্যমন্ত্রীও ছিলেন। ২০১২ সালে প্রথম হিমাচল থেকে রাজ্যসভায় যান নাড্ডা। এর পর ২০২০ সালে অমিত শাহ সভাপতি পদ থেকে সরলে তাঁর জায়গায় আসেন নাড্ডা।