সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাশ হয়ে গেল ওয়াকফ বিল। গত আগস্টে যে বিল পেশ করা হয়েছিল, সেই বিলে ১৪টি সংশোধনী প্রস্তাব করেছে কমিটি। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, সামনেই দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন। সেই কারণেই তাড়াহুড়ো হচ্ছে এই বিল পাশ করানোর জন্য। সবমিলিয়ে এই বিলে ৪৪টি সংশোধনীর দাবি করেছিলেন বিরোধী সাংসদরা। কিন্তু তাঁদের দাবি নাকচ করে দিয়েছে কমিটি।

গত বছর আগস্ট মাসে পেশ হয় ওয়াকফ বিল। এই নিয়ে আলোচনার জন্য বিরোধীদের দাবি মেনে যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়েছিল সরকার। প্রাথমিকভাবে ওই কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম সপ্তাহেই। কিন্তু নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে রিপোর্ট দিতে না পারায় কমিটির মেয়াদ বাড়ানো হয়। বাজেট অধিবেশনের শেষ দিন পর্যন্ত কমিটিকে সময় দেওয়া হয়। তবে সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেওই ১৪টি সংশোধনী-সহ ওয়াকফ বিলকে সবুজ সংকেত দিল কমিটি।
শুক্রবার এবং শনিবার কমিটির চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পাল শেষ দফায় জেপিসির বৈঠক ডেকেছিলেন। তবে সেই বৈঠক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বৈঠকের শুরুতেই বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপির নিশিকান্ত দুবে। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, জেপিসির চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পাল রিপোর্ট দেওয়ার জন্য বড্ড বেশি তাড়াহুড়ো করছেন। এই নিয়ে এখনও বহু আলোচনার প্রয়োজন আছে। বহু পক্ষের সঙ্গে কথা বলা দরকার। বিশৃঙ্খলার জেরে ১০ বিরোধী সাংসদকে শুক্রবারের জন্য সাসপেন্ডও করা হয়।
অবশেষে সোমবার কমিটিতে পাশ হয়ে গেল ওয়াকফ বিল। জানা গিয়েছে, বিজেপির পক্ষ থেকে ২৩টি সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়েছিল। তার মধ্যে ১৪টি গৃহীত হয়েছে। কিন্তু বিরোধীদের আনা ৪৪টি সংশোধনীর প্রত্যেকটিই খারিজ হয়েছে। কমিটির চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পাল জানান, বিরোধীরা যা প্রস্তাব করেছেন তার পক্ষে মাত্র ১০টি করে ভোট পড়েছে। সূত্রের খবর, ১৪টি সংশোধনী নিয়ে আগামী ২৯ জানুয়ারি ফের ভোটাভুটি হবে। ৩১ জানুয়ারি চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করতে পারে কমিটি।