সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনশন প্রত্যাহার করে নবান্নের বৈঠকে যোগ দিতে পারবেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের তরফে ই-মেল মারফত একথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। নবান্নে বৈঠকে বসার জন্য কি অনশন প্রত্যাহার করবেন জুনিয়র চিকিৎসকরা? পরবর্তী রূপরেখা স্থির করতে জিবি বৈঠকে জুনিয়র চিকিৎসকরা। রবিবার দুপুর ১টা নাগাদ এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে বৈঠক বসেছেন তাঁরা। শারীরিক দুর্বলতা থাকলেও বৈঠকে যোগ দিয়েছেন অনিকেত মাহাতো।
গত ৯ আগস্ট, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনায় সুবিচার-সহ ১০ দফা দাবিতে আন্দোলনে শামিল জুনিয়র ডাক্তাররা। এসএসকেএমের অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কেপিসি মেডিক্যালের সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা, কলকাতা মেডিক্যালের স্নিগ্ধা হাজরা এবং আলোলিকা ঘোড়ুই, শিশুমঙ্গলের পরিচয় পাণ্ডা, অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ হাইজিন অ্যান্ড পাবলিক হেলথের রুমেলিকা কুমার, মেদিনীপুর মেডিক্যালের স্পন্দন চৌধুরী এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সন্দীপ মণ্ডল বর্তমানে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন।
একটানা ১৬ দিন ধরে অনশন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। অনশনের ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েন কলকাতা মেডিক্যালের তনয়া পাঁজা এবং অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, এনআরএসের পুলস্ত্য আচার্য, উত্তরবঙ্গের সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অলোক বর্মা। তাঁদের মধ্যে অনিকেত, অনুষ্টুপ ও পুলস্ত্য হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। যাঁরা এখনও অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। তাঁদের নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর।
শনিবার ধর্মতলার অনশন মঞ্চে যান মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের মাধ্যমে ফোনে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে প্রায় ঘণ্টাখানেক কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফোনে জুনিয়র চিকিৎসকদের কাছ থেকে দশ দফা দাবি শুনতে চান তিনি। তবে আট দফা দাবি শোনান জুনিয়ররা। দ্রুত ও স্বচ্ছ বিচার, স্বাস্থ্যসচিবের অপসারণ, রেফারেল ব্যবস্থা, ফাঁকা বেডের খতিয়ান, হাসপাতাল সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগে আপত্তি, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মতো আট দফা দাবির কথা উল্লেখ করেন আন্দোলনকারীরা। বাকি দুদফা দাবি বৈঠকের টেবিলে বলবেন বলেই জানান চিকিৎসকরা। সোমবার বিকেল ৫টায় নবান্নে বৈঠকের জন্য সময় দেন মুখ্যমন্ত্রী। মাত্র ১০ জন প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করা হবে বলেই জানিয়ে দেওয়া হয়। তবে পরে মুখ্যসচিবের তরফ থেকে একটি ই-মেল পাঠানো হয়। তাতে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অনশন প্রত্যাহার করলে তবেই বৈঠকের টেবিলে বসতে পারবেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বৈঠক সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে জিবি মিটিংয়ে বসেন আন্দোলনকারীরা।