সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনশনরত জুনিয়র চিকিৎসক এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে চেয়ে রবিবার দুপক্ষকে ইমেল করেছিলেন বিশিষ্টজনরা। অপর্ণা সেন, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, সুজাত ভদ্র-সহ সাংস্কৃতিক জগতের একাধিক ব্যক্তি তাতে সই করেছিলেন। দুপক্ষের কাছেই আবেদন ছিল, অস্থির পরিস্থিতির অবসান ঘটিয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে অবিলম্বের আলোচনার টেবিলে বসা হোক। তাঁরা চাইলে অপর্ণা সেনরা মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত। পাশাপাশি জুনিয়র চিকিৎসকদের স্বাস্থ্যের যেভাবে অবনতি হচ্ছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে অনশন প্রত্যাহারের অনুরোধও করেন তাঁরা। কিন্তু বিদ্বজ্জনদের এই প্রস্তাব কার্যত ফিরিয়ে দিলেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। রবিবার রাতে ধর্মতলার অনশনমঞ্চ থেকেই জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার স্পষ্ট জানালেন, মধ্যস্থতার প্রয়োজন নেই।
এনিয়ে রবিবার রাতে ধর্মতলার মঞ্চ থেকে ডাক্তার দেবাশিস হালদারের জবাব, ''বিশিষ্টজনরা আমাদের পাশে রয়েছেন, তা খুবই ভালো লেগেছে আমাদের। কিন্তু তাঁরা প্রস্তাব রেখেছেন, আমাদের আর সরকারের মধ্যে মধ্যস্থতা করার। আমাদের মধ্যে যাঁরা অনশন করছেন, তাঁদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে দিনদিন। সে বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আপনারা বলেছেন, অনশন যেন আমরা তুলে নিই। আমরা বলতে চাই, যাঁরা এত বড় একটা আন্দোলনে নেমেছেন, তাঁদের মনোবল এত দুর্বল নয়। অসুস্থ হলেও আমরা লড়াই থেকে সরে আসব না কখনও। এই পরিপ্রেক্ষিতে বলতে চাই, আমাদের কোনও মধ্যস্থতাকারীর প্রয়োজন নেই। পাশে থাকুন কিন্তু ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য, ব্যক্তিগত রাজনৈতিক পরিচয়কে বাদ দিয়ে।''
রবিবার অনশনমঞ্চ থেকে আরও বেশ কয়েকটি কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আর জি করে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় সিবিআইয়ের প্রথম চার্জশিট নিয়ে আপত্তি তুলেছেন তাঁরা। প্রথম চার্জশিটে শুধুমাত্র ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের নাম থাকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তা নিয়ে আজ রাজভবন অভিযান করছেন জুনিয়র ডাক্তারদের। বিকেল ৪টে নাগাদ তাঁরা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন বলে ঘোষণা করেছেন ডাক্তার দেবাশিস হালদার।