ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষণা জুনিয়র চিকিৎসকদের। তাঁদের দাবি, কলেজ কাউন্সিলের বৈঠকে দশ দফা দাবি মৌখিকভাবে মেনে নিলেও কোনও লিখিত প্রতিশ্রুতি মেলেনি। নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কাজে ফিরবেন না জুনিয়র চিকিৎসকরা। আর এই প্রতিবাদের আঁচ ছড়িয়েছে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও। সেখানে আপাতত জিবি বৈঠক চলছে। সূত্রের দাবি, সেখানকার জুনিয়র ডাক্তাররাও কর্মবিরতির ডাক দিতে চলেছেন।
চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগে শুক্রবার সন্ধেবেলা ধুন্ধুমার কাণ্ড কামারহাটি সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী এমনকি পুলিশকেও হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে মৃত রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে। হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তার থেকে সিনিয়র নার্সিং স্টাফও। এই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার থেকে পূর্ণ কর্মবিরতির পথে হাঁটার ঘোষণা করেন সাগর দত্তর জুনিয়র চিকিৎসকরা। সেই কর্মবিরতি অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে বলেই শনিবার জানালেন তাঁরা।
পরিস্থিতি সামাল দিতে এদিন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম এবং বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া হাসপাতালে যান। সঙ্গে ছিলেন স্বাস্থ্য অধিকর্তাও। জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তাঁরা। কিন্তু বৈঠক ছেড়ে প্রায় মাঝপথে বেরিয়ে আসেন নিগম। বেরিয়ে আসেন স্বাস্থ্য অধিকর্তাও। পরে ছাত্ররাও বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে এসে ধরনামঞ্চে চলে যান জুনিয়র ডাক্তাররা। জানান, নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে। তাঁদের কথায়, পুকুরের পাড়ে হাসপাতাল। অনেক বিল্ডিং নির্মিয়মান। সব জায়গায় সিসিটিভি নেই। চিকিৎসক, নার্সিং স্টাফদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করলে তবেই কাজে ফিরবেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এ নিয়ে বৈঠক হয়। কিন্তু তাঁদের দশ দফা দাবি নিয়ে মৌখিক মেনে নিলেও লিখিত আশ্বাস জোটেনি। ফলে আশ্বস্ত নন তাঁরা।
কামারহাটি সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়িয়ে কর্মবিরতির পথে হাঁটছেন নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরাও। তাঁরা কর্মবিরতির ডাক দিতে পারেন বলে সূত্রের খবর।