গোবিন্দ রায়: ২০১৪’র প্রাইমারি টেটের (2014 Primary TET) দুর্নীতি মামলায় নয়া মোড়। এবার ২০১৬-এর ইন্টারভিউয়ার অর্থাৎ যারা ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন, সেই সমস্ত শিক্ষককে এজলাসে ডেকে পাঠালেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি তাঁদের আদালতে হাজিরা দিতে হবে। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, পর্ষদের হলফনামা থেকে এটা স্পষ্ট যে প্রাথমিকের ২০১৬-র নিয়োগপ্রক্রিয়ায় কোনও অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট হয়নি। ইন্টারভিউ আর অ্য়াপ্টিটিউড টেস্টকে একত্র করে একটা গড় নম্বর দেওয়া হয়েছে।
২০১৪ র টেটের র প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে যে নিয়োগপ্রক্রিয়া সংগঠিত হয়েছিল। অভিযোগ, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের সময় প্রার্থীদের প্রয়োজনীয় অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি। সেই প্রেক্ষিতে এবার হুগলি, হাওড়া, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার এবং মুর্শিদাবাদের ইন্টারভিউয়ারদের তলব করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, রুদ্ধদ্বার এজলাসে হবে সেই সমস্ত শিক্ষকদের জিজ্ঞাসাবাদ। সেইসময় সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা ছাড়া আর কেউ থাকবে না এজলাসে।
[আরও পড়ুন; তুরস্কের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১২০০ পার, ত্রাণ ও প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে ভারত]
ইন্টারভিউয়ারদের কলকাতায় আসার খরচ জোগাবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। প্রাথমিকভাবে ঠিক করা হয়েছিল, ৫ জেলা থেকে কলকাতায় আসার খরচ বাবদ প্রত্যেককে ২ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। যা নিয়ে আপত্তি জানান পর্ষদের আইনজীবী।
বিচারপতিকে প্রশ্ন করেন, হাওড়া থেকে হাই কোর্ট আসার জন্য কেন ২ হাজার টাকা দেব? মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার থেকে যারা আসবেন তাঁরাও যাতায়াত ভাড়া বাবদ ২০০০ টাকা পাবেন, আবার যারা হাওড়া – হুগলি থেকে আসবেন তারাও ২০০০ টাকা পাবেন? এটা কী করে হয়? আইনজীবীর আরও সংযোজন, কেউ যদি বিমানের প্রথম শ্রেণির ভাড়া দাবি করেন তখন আমরা কী করব? তিনি উপায় বাতলে দেওয়ার অনুরোধ জানান বিচারপতির কাছে। শেষে বিচারপতি জানান, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর ও মুর্শিদাবাদের ইন্টারভিউয়াররা ২০০০ টাকা আর হাওড়া-হুগলির শিক্ষকরা পাবেন ৫০০ টাকা।