সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবারই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ করে নির্বাচনের ডাক দিয়েছিলেন অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। প্রতিক্রিয়ায় তিনি অবসরের পর রাজনীতির ময়দানে আসতেও পারেন বলে জল্পনা জিইয়ে রেখেছিলেন। আর রবিবার তাঁকে দেখা গেল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মিলনীর মঞ্চে, সিপিএম (CPM) নেতাদের সঙ্গে। একদিকে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, আরেকদিকে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য – মঞ্চে মধ্যমণি কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়! রবিবার এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি ডাক দিলেন অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার লড়াইয়ের।
রবিবার ধর্মতলা চত্বরে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মিলনীর তরফে এক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। রাজ্যের একাধিক দুর্নীতি মামলার বিচার এই মূহূর্তে যিনি করছেন, তেমন গুরুত্বপূর্ণ মানুষের বক্তব্য শোনার আগ্রহ ছিল সকলেরই। আর তিনি শোনালেন অধিকারের কথা, অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার কথা। বললেন, ”আমি জানি, নতুন আইনে যে রুল করা দরকার, সেটা হয়নি। কিছু রুল এখনই দরকার। অধিকার কেউ হাতে তুলে দেবে না। যে কোনও সময়ে শাস্তির খাঁড়া নেমে আসতে পারে, সেটা ভেবেই এগোতে হবে। সারা দেশে ভোট হয়। রং বদলায়, কিন্তু দিন বদলায় না।”
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর জনসভার জন্য বন্ধ স্টেডিয়াম, বাতিল শিলিগুড়ি প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ]
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মতে, রাস্তাই রাস্তা দেখাবে। সেই রাস্তা ধরে এগিয়ে যেতে হবে। তাঁর কথায়, ”কেউ অধিকার দেয় না, বরং অধিকার কেড়ে নেওয়ার ব্যবস্থা হয়। সামান্য কিছু কাজ হয়। গত ৭৫ বছরে যা হওয়া উচিত ছিল, তার তো কিছুই হয়নি। একদল মানুষ বসে থাকে আমলা সেজে, রাজনৈতিক নেতারা ততটা নন। কারণ, তাঁদের ভোটে জিতে ফিরে আসতে হয়।” শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই আপাতত জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী-সহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা। যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা সুবিচারের জন্য তাঁর মুখাপেক্ষী। এহেন ব্যক্তিত্বের বক্তব্য যে যথেষ্ট গুরুত্বের সহকারে শোনা হবে, সেটাই স্বাভাবিক। তবে এই মঞ্চে সিপিএম নেতাদের মাঝে তাঁর অবস্থান নিয়ে ইতিমধ্যেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে।