সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বড় আকার নিয়েছে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বিমান বিভ্রাট। রবিবার জি-২০ সম্মেলন (G20) শেষ হয়ে গেলেও মঙ্গলবার পর্যন্ত দিল্লিতেই (Delhi) আটকে রয়েছেন তিনি। কানাডার (Canada) সশস্ত্র বাহিনী চেষ্টা করেও এখনও ট্রুডোর বিমানের ত্রুটি মেরামত করতে পারেনি। তবে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের অনুমান, মঙ্গলবার বিকেলে দেশের উদ্দেশে রওনা দিতে পারবেন ট্রুডো (Justin Trudeau)। প্রসঙ্গত, কানাডার গোটা প্রতিনিধি দলই আটকে রয়েছে দিল্লিতে।
রবিবার দুপুরে শেষ হয়েছে জি-২০ সম্মেলন। তারপরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসেন ট্রুডো। সেই বৈঠক শেষে দিল্লি বিমানবন্দর থেকে দেশে ফেরার কথা ছিল তাঁর। সূচি অনুযায়ী রাত আটটার সময়ে বিমানবন্দরে পৌঁছেও গিয়েছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। ঠিক সেই সময়েই তাঁর বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। উড়ান কর্তৃপক্ষের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, এই ত্রুটি সামলে বিমান উড়তে দীর্ঘ সময় লাগবে।
[আরও পড়ুন: মণিপুরে সরকারের নিশানায় সংবাদমাধ্যম, এডিটর্স গিল্ডের সদস্যদের রক্ষাকবচ সুপ্রিম কোর্টের]
জানা গিয়েছে, বিমানবন্দর থেকেই হোটেলে ফিরে যেতে বাধ্য হয় প্রধানমন্ত্রী-সহ কানাডার গোটা প্রতিনিধি দল। তারপরে প্রায় ৩৬ ঘণ্টা কেটে গেলেও বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটি এখনও ঠিক হয়নি। তবে মঙ্গলবার সকালে এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। প্রেস সচিব মহম্মদ হুসেন বলেন, “ভারত থেকে কানাডার প্রতিনিধি দলকে ফিরিয়ে আনতে সমস্ত রকম চেষ্টা করছে দেশের সেনাবাহিনী। তাঁরা জানিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়ি হলেও মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ কানাডার প্রধানমন্ত্রীর বিমান ছাড়তে পারে। যদিও এখনও সমস্যা পুরোপুরি মেটেনি।”
দিল্লির ললিত হোটেলের ৩০টি ঘরে রয়েছেন কানাডার প্রতিনিধি দল। রয়েছেন ট্রুডোর ১৬ বছর বয়সি পুত্র জেভিয়ারও। প্রায় ৪৮ ঘণ্টার কাছাকাছি সময় ভারতে আটকে থাকতে পারেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, মোদির সঙ্গে বৈঠকে খলিস্তানি প্রসঙ্গে যথেষ্ট কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে। খলিস্তানি সক্রিয়তার কারণে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে চিড় ধরতে পারে বলেই জানিয়েছে ভারত। তারপর থেকেই বিমানে ত্রুটির কারণে ভারতে আটকে রয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: রামমন্দিরের উদ্বোধনে গোধরার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, আশঙ্কা উদ্ধব ঠাকরের]