সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টানা ১০-৭টার অফিস করে ক্লান্ত? কিংবা মন খারাপ৷ কিংবা অনেক দিন ব্যাগ গুছিয়ে রওনা দেওয়া হয়নি কোনও অজানার উদ্দেশ্যে৷ কারণ যা-ই হোক না কেন, হাতে দু-চার দিনের সময় বের করে ফেলতে পারলেই হল৷ শান্তির খোঁজে অথবা প্রকৃতির সঙ্গে রোম্যান্স করতে পাড়ি দিন পশ্চিম সিকিমের কালিজ উপত্যকায়৷
প্রকৃতির এই অচেনা ঠিকানার খোঁজ অনেক পর্যটকেরই এখনও জানা নেই৷ আর তাই আর পাঁচটি পাহাড়ি এলাকার থেকে এই স্থান অনেক বেশি শান্ত৷ তবে একবার এর ঠিকানা পেয়ে গেলে, কালিজ ভ্যালির সৌন্দর্যের সাধ নিতে ঘুরে-ফিরে আসতেই হবে৷ এই উপত্যকার তিন দিক দিয়ে তিনটি নদী বয়ে গিয়েছে৷ উত্তরে কালিজ খোলা নদী, পশ্চিমে হি খোলা ও দক্ষিণে রঙ্গিত৷ ঠিক মধ্যিখানে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা৷ আর তার কোলে এক টুকরো সবুজ স্বর্গ৷ যার নাম কালিজ ভ্যালি৷
কী দেখবেন
কালিজ উপত্যকার জনপ্রিয় স্থান যুমা সাম্য মানঘিমের মন্দির৷ সাম্য ধর্মের মানুষরা এখানে প্রাথর্না করার জন্য ভিড় জমান৷ এখান থেকে ১৩ কিলোমিটার পথ গেলে পৌঁছবেন একটি ছোট্ট সাজানো গ্রামে৷ সেখানে রয়েছে কৈলাশপতি গুহা৷ শিবরাত্রিতে এখানে পৌঁছে যান অগণিত ভক্ত৷ অন্ধকার গুহার মধ্যে শিব ঠাকুরের দর্শন করে নিন৷
এদিনই দেখে নিতে পারেন আরও কয়েকটি নাম করা গুহা৷ বেরমোয়িক বাজারের কাছে অ্যালি গুহা ও তার কাছেই সৃজুঙ্গ গুহা ও জলপ্রপাতের শোভা মন ভাল করে দেওয়ার মতো৷
ফেং ডোজি জলপ্রপাত এখানকার অন্যতম আকর্ষণ৷ বর্ষাকালে হি খোলা নদী এই জলপ্রপাতে অন্য রূপ ধারণ করে৷
এবার একটু বিশ্রামের পালা৷ তাই চলে যান রবীন্দ্রনাথ স্মৃতিবানে৷ এই স্থানে জীবনের বেশ খানিকটা সময় কাটিয়েছেন কবি গুরু৷
পরিবারের সঙ্গে গেলে ঘুরে আসতে পারেন হি ওয়াটার গার্ডেনে৷ বাগানের শান্ত, স্নিগ্ধ পরিবেশে খাওয়া-দাওয়া সেরে আবার বেড়িয়ে পড়ুন৷
সিকিমে এক টুকরো নৈনিতালের সাধ পেতে হলে যেতে হবে ছায়া তালে৷ এখানে পর্যটকদের জন্য বোটিংয়ের ব্যবস্থাও আছে৷
হাতে একটু বেশি সময় থাকলে কালিজের আশেপাশের এলাকাও ঘুরে নিতে পারেন৷ ছাঙ্গে জলপ্রপাত, সিংসোর ব্রিজ, পেগাগংগিটসে মঠের মতো জনপ্রিয় জায়গাগুলিকেও গন্তব্যের তালিকায় রাখতে পারেন৷
কীভাবে যাবেন
হাওড়া থেকে ট্রেনে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন৷ সেখান থেকে কালিজ উপত্যকার দূরত্ব ১৪০ কিলোমিটার৷ বিমানে গেলে নামতে হবে বাগডোগরা বিমানবন্দরে৷ সেখান থেকে গাড়িতে দেড়শো কিলোমিটারের পথ৷
কোথায় থাকবেন
এখানকার বেশিরভাগ হোটেলগুলি থেকেই বরফঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পাওয়া যায়৷ প্রায় সব হোটেলেই খাওয়া-দাওয়ার জন্য রয়েছে রুফটপ রেস্তোরাঁ৷ বছরের যে কোনও সময়ই এখানে বাজেট হোটেল পেয়ে যাবেন৷
The post ব্যাগ গুছিয়ে পাড়ি দিন প্রকৃতির এই অচেনা ঠিকানায় appeared first on Sangbad Pratidin.