অভিষেক চৌধুরী, কালনা: করোনা (Coronavirus) সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ের কথা ভেবে এই রাজ্যে এখনও সরকারিভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি খোলার অনুমতি নেই। কিন্তু কালনার গোয়ারা এলাকায় নাকি দিব্যি শিশুদের নিয়ে চলছে স্কুল। বেসরকারি এক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ। অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এই কোভিড (COVID) পরিস্থিতিতে স্কুলটি চলছে। কালনা মহকুমা বিদ্যালয় পরিদর্শককে তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন কালনার মহকুমাশাসক। যদিও স্কুলের পক্ষ থেকে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
স্থানীয় ও স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন আগেই কালনার গোয়ারায় থাকা এই বেসরকারি স্কুলটি খোলা হয়েছে। প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির শিশুদের নিয়ে নির্দিষ্ট সময় ধরে পঠনপাঠনও চালানো হচ্ছে। শুধু তাই নয়,সামাজিক দূরত্ববিধি শিকেয় তুলে অনেকের মুখে মাস্ক না থাকার ছবিও ধরা পড়ে।
[আরও পড়ুন: COVID-19 Update: দেশে আরও কমল করোনার দাপট, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৭৫৭৯ জন]
চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী কমলিকা মজুমদার জানায়,“কিছুদিন আগেই স্কুল খুলেছে। প্রতিদিন পড়াশোনাও ঠিকঠাক হচ্ছে। দিদিমণিরাও ভালই পড়াচ্ছেন।” আর এক ছাত্র সোহান শেখ জানায়, “এগারোটা থেকে দু’টো পর্যন্ত ক্লাস হচ্ছে। প্রতিটা ক্লাসই ভালভাবে হচ্ছে।” বিশ্বনাথ দেবনাথ নামে এক অভিভাবক জানান,“লক্ষ্মীপুজোর পর থেকেই স্কুল চালু হয়। বাড়িতে সেভাবে পড়াশোনা হচ্ছে না। অল্পসংখ্যক ছাত্রছাত্রী আছে তাই বাচ্চাকে পাঠানো হয়।”
যদিও এই ঘটনার কথা অস্বীকার করে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মঞ্জু চক্রবর্তী বলেন, “আমরা জানি শিশুরা এখন স্কুলে আসতে পারবে না। সামনেই পরীক্ষা। সব অভিভাবকরা তো শিক্ষিত নয়। একটু দেখিয়ে ও বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য ওদের বলা হয়। এখন স্কুল চলছে না। প্রাইভেট টিউটরের কাছেও তো ওরা পড়তে যায়। তাই ওদের এখানে এসে পড়া দেখিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য জানানো হয়। গত সোমবার থেকে একটু একটু করে আসছে। কুড়ির বেশি বাচ্চা একটি ক্লাসে থাকে না।” কালনার মহকুমাশাসক সুরেশ কুমার জগৎ বলেন, “খবর পাওয়ার পরেই এ আই, এস আইয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। রিপোর্ট দিতে বলেছি। সরকারি নির্দেশ না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে স্কুল চালাচ্ছেন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”