বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: ২০২১-এ কলকাতাতেই বিখ্যাত বুর্জ খালিফা দর্শনের সুযোগ হয়েছিল বঙ্গবাসীর। সৌজন্যে দুর্গাপুজো। দুবাইয়ের পর এবার সোজা চলে যেতে পারবেন মালয়েশিয়া! কোয়ালা লামপুরের টুইন টাওয়ারের (Twin Tower) নিচে দাঁড়িয়ে তুলতে পারবেন সেলফিও। হ্যাঁ, এবার পুজোয় এমনই চমক দিতে প্রস্তুত হচ্ছে নদিয়ার কল্যাণীর আইটিআই মোড়ের লুমিনাস ক্লাব ও ব্যবসায়ী সমিতি।
মণ্ডপের সামনে বাঁশ, কাঠ, কাচের ভিড়। প্রায় চার মাস আগেই শুরু হয়ে যায় কর্মযজ্ঞ। বাঁশ ও কাঠ দিয়ে মণ্ডপের কাঠামো তৈরি হয়। প্লাইউডের উপর আঠার সাহায্য কাচ লাগিয়ে সাজছে মণ্ডপ। সাজানো বাগানে ফোয়ারার বন্দোবস্ত। রয়েছে রংবাহারি আলোর মেলা। কাচের তৈরি মণ্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কাঁথি থেকে আনা হচ্ছে প্রতিমা। দেবীর অলংকারও কাচের।
[আরও পড়ুন: ‘মদন মন্ত্রিসভায় নেই দেখে অবাক হচ্ছি’, মমতার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সাংসদ প্রসূন]
প্রতি বছরের মতো এবারও মণ্ডপ তৈরির গুরুদায়িত্ব কল্যাণীর সরকার ডেকরেটার্সের। প্রায় ১৫২ ফুট উঁচু এবং ১৩২ ফুট চওড়া মণ্ডপ তৈরিতে ৬০ জনেরও বেশি কারিগর দিনরাত এক করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। দ্বিতীয়া বা তৃতীয়ায় মণ্ডপ তৈরির কাজ শেষ হবে, আশাবাদী উদ্যোক্তারা। চতুর্থীতে মণ্ডপ উদ্বোধন। তবে উদ্বোধনের সময় বিশেষ কোন অতিথি আসছেন কিনা, তা ক্রমশ প্রকাশ্য।
রাজ্যের বিভিন্ন পুজো কমিটিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছেন। মণ্ডপ তৈরিতে ওই অর্থ কাজে লেগেছে বলেই জানান উদ্যোক্তারা। মুখ্যমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানান তাঁরা। ২০২০ সালে মার্চ থেকে রাজ্যজুড়ে দাপট দেখিয়েছে করোনা। তার ফলে উৎসবও যেন অনেকটাই বেরঙিন হয়ে গিয়েছিল। ফলে দু’বছর নানা বিধিনিষেধ জারি ছিল। তবে এবার করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তাই টুইন টাওয়ারের আদলে তৈরি মণ্ডপ দেখতে অগণিত দর্শনার্থী ভিড় জমাবেন বলেই আশা উদ্যোক্তাদের। যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয় তাই নিরাপত্তার বন্দোবস্তও করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনাও সেরে ফেলা হয়েছে। প্যান্ডেল হপিংয়ের পাশাপাশি বিদেশ ভ্রমণের আনন্দ উপভোগ করতে চাইলে আপনিও একবার কল্যাণীতে ঢুঁ মারতেই পারেন।
দেখুন ভিডিও।