সন্দীপ্তা ভঞ্জ ও সুপর্ণা মজুমদার: এক ভারতের দুই চিত্র। একদিকে বিশাল দালানের নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করা হচ্ছে, অন্যদিকে দেশের জন্য সোনা-রুপোর পদক জিতে আনা মানুষগুলোকে রাস্তা দিয়ে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে প্রিজনভ্যানে তোলা হচ্ছে। “অগণতান্ত্রিকতার চূড়ান্ত নিদর্শন”, বললেন পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় (Kamaleswar Mukherjee)। “দেশের আজকে একটা কালো দিন”, মন্তব্য রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rahul Arunoday Banerjee)।
যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনে জাতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংকে কাঠগড়ায় তুলেছেন সাত মহিলা কুস্তিগির। তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের আশাতেই দিল্লির যন্তরমন্তরে বহুদিন ধরে আন্দোলন করে চলেছেন ভিনেশ ফোগাট, বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিকরা। এমন পরিস্থিতিতেই রবিবার ধুমধাম করে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নতুন এই সংসদের পথেই রওনা দিয়েছিলেন সাক্ষী, বজরংরা। তাঁদের সংসদ অভিযান রুখতে তৎপর হয় পুলিশ। অভিযোগ, টানতে টানতে দেশের সেরা কুস্তিগিরদের হাজতে নিয়ে যাওয়া হয়। মারধর করা হয় মহিলা রেসলারদেরও।
[আরও পড়ুন: ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গানে মজলেন তানজানিয়ার কিলি পল, ভিডিও দেখে মুগ্ধ চঞ্চল চৌধুরী]
এ বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় বলেন, “এটা অগণতান্ত্রিকতার একটা চূড়ান্ত নিদর্শন। একইদিনে গণতন্ত্র উদযাপন করতে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন হচ্ছে, অন্যদিকে কুস্তিগিরদের উপর আক্রমণ। দুই পরস্পরবিরোধী ঘটনা। দু’টোর মধ্যে থেকেই স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের অভিমুখ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। সেই কারণেই বিরোধীরা বয়কট করলেন। যে ছবিটা দেখা গেল সেটা অপ্রীতিকর।”
ঘটনা সম্পর্কে সম্যকভাবে জানা না থাকলেও অভিনেতা রাহুল বলেন, “এই অবস্থান, বিক্ষোভ অনেকদিন ধরে চলছে। যাঁরা করছেন তাঁরা এদেশের সোনা এবং রুপোর ছেলে-মেয়ে। এঁরা ক্রিকেটের মতো প্রভাবশালী খেলার অংশ নয়, কিন্তু অলিম্পিকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন। এঁদের গুরুত্ব কিন্তু অনেক। এদের যদি খারাপভাবে ট্রিট করা হয় তাহলে দেশের আজকে একটা কালো দিন বলেই ধরতে হবে।” রাজধানীর রাস্তায় সাক্ষী মালিকদের রীতিমতো টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একথা শুনেই রাহুল বলেন, “আমার কাছে খেলার থেকে বড় একত্রিত করার মতো মাধ্যম কম আছে। খেলা ঐশ্বরিক জিনিস। অ্যাথলিটরা সামান্য তারকা নন। তাঁদের সঙ্গে যদি দেশ এমন ব্যবহার করে তাহলে তা দেশের পক্ষে কালো দিন তো হবে।”