দিশা ইসলাম, বিধাননগর: হাই কোর্টের রায়কে কার্যত চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হবে কামদুনি। নির্যাতিতা সুবিচার চেয়ে শনিবার পথে নেমে সোচ্চার হলেন কামদুনি প্রতিবাদীদের অন্যতম মুখ টুম্পা কয়াল ও মৌসুমি কয়াল’রা। তাঁদের বক্তব্য, “বিচার চাইতে সুপ্রিম কোর্টে যাব। রাষ্ট্রপ্রতি এবং প্রধানমন্ত্রীর দারস্থ হব। গণধর্ষণের সমস্ত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা চাই৷”
শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টে রায় দেয়- যে তিনজনকে নিম্ন আদালত ফাঁসির সাজা দিয়েছিল, তাদের একজন বেকসুর খালাস, বাকি দু’জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড আর বাকি তিনজনের সাজা রদ হয়। এই রায় ঘোষণার পর, আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে ফুঁসে উঠেছিল ‘কামদুনি প্রতিবাদী মঞ্চ’৷ কলকাতা হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে শনিবার বিকেলে কামদুনি মোড়ে একটি প্রতিবাদ কর্মসূচি হয়। সেখানে গণধর্ষিতা তরুণীর একটি মূর্তি রয়েছে। সেই মূর্তিতে মাল্যদান করেই শুরু হয় এদিনের প্রতিবাদ বিক্ষোভ। কামদুনি প্রতিবাদী মঞ্চের ওই কর্মসূচি কার্যত দখলে ছিল বাম-বিজেপি ও কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের।
[আরও পড়ুন: বাঙালির উৎসবে বাংলার স্বাদ, পুজোয় তৈরি করে ফেলুন মানকচু মুরগির ঝোল, রইল রেসিপি]
সুবিচার চেয়ে এদিন রাজারহাট-খড়িবাড়ি রুট অবরোধ হয়। তাতে দীর্ঘক্ষণ ব্যাহত হয় যান চলাচল। বিক্ষোভকারীরা রাস্তার উপর বসে কলকাতা হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে স্লোগান আওড়াতে থাকে। কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সাংসদ সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ছিলেন সিপিএমের শতরূপ ঘোষ-সহ একাধিক নেতা-নেত্রী ও কংগ্রেসের কৌস্তভ বাগচিরাও। সুকান্ত বলেন, “প্রতিবাদী পরিবার সুপ্রিম কোর্টে যাবে। তাঁর আইনজীবীর ব্যবস্থা করব আমরাই। প্রতিবাদী পরিবারকে সুরক্ষার দিতে বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীর বন্দোবস্ত করব।” সিপিএমের বক্তব্য, “কামদুনির রায় অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। বিচারের নামে প্রহসন হল৷” কংগ্রেসের নেতৃত্বের কথায়, “রাজ্য সরকারের নেতাদের দুর্নীতি ঢাকতে বিপুল টাকা খরচ করা হয়। অথচ এই রাজ্যে নির্যাতিতা পরিবারের বিচার হয় না। যদিও পাল্টা সুর চড়িয়ে শাসক তৃণমূলের বক্তব্য, “সাজা কী হবে, তা হাই কোর্ট ঠিক করেছে। বিরোধী রাম, রাম ও কংগ্রেস একজোটে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে।”