সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেষমেশ বছর তিনেকের ডিভোর্স মামলায় আইনি সিলমোহর। আইনত বিচ্ছেদ হল কাঞ্চন মল্লিক এবং পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kanchan Mullick, Pinky Banerjee)। জানুয়ারি মাসেই টলিপাড়ার তারকাদম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদের পক্ষে রায় দিয়েছে আদালত।
কাঞ্চন-পিঙ্কির দাম্পত্য কলহ নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি টলিউডের অন্দরে একসময়ে! এমনকী সিনেসংগঠনকেও বিবৃতি প্রকাশ করে জানাতে হয়েছিল যে, দুজনেই সিনেইন্ডাস্ট্রির অংশ, তাই তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয়ে কেউ ‘নাক গলাবে’ না! ‘পরকীয়া’র জেরেই নাকি তাঁদের সংসার ভাঙে বলে খবর চাউর হয়েছিল। একে-অপরের দিকে আঙুলও তুলেছিলেন। এমনকী, কাঞ্চন-পিঙ্কির সাংসারিক ঝামেলা থানা-পুলিশ অবধি গড়িয়েছিল। শোনা গিয়েছিল, ‘কৃষ্ণকলি’ খ্যাত শ্রীময়ী চট্টরাজের জন্যই নাকি তাঁদের সংসারে ভাঙন ধরে! সেই জল্পনায় সায় দিয়ে পরে কাঞ্চন-শ্রীময়ীকে একাধিকবার একসঙ্গে দেখা গিয়েছে। কখনও একুশে জুলাইয়ের সভায় আবার কখনও বা রং মিলান্তি পোশাকে সেচমন্ত্রীর বাড়ির দুর্গাপুজোয়।
[আরও পড়ুন: দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে বেলাগাম মধুচন্দ্রিমা আরবাজের! সুরার প্রশ্ন, ‘চা-কফি খাবে, না আমাকে?’]
বছর দুয়েক ধরে তারকা বিধায়কের বাড়ির পুজোর অনুষ্ঠানের সব দায়িত্বও একাহাতে সামলান শ্রীময়ী চট্টরাজ। তারপর আর অনুরাগীদের ঠাহর করতে সময় লাগেনি! অবশেষে দীর্ঘ আইনি জটিলতার পর কাঞ্চন মল্লিক ও পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটেছে গত ১০ জানুয়ারি। একমাস পরেও কেন চুপ অতীতে খবরের শিরোনামে উঠে আসা ‘প্রাক্তন’রা?
সংবাদমাধ্যমের কাছে সম্প্রতি কাঞ্চন-পিঙ্কি দুজনেই মুখ খুলেছিলেন। তবে এই ডিভোর্স নিয়ে কেউই বেশি শব্দ খরচ করতে চাননি! পিঙ্কি জানিয়েছেন, “কাজে ডুবে রয়েছি। ভালো আছি।” তাঁর কাছেই থাকছে অপ্রাপ্তবয়স্ক একমাত্র পুত্রসন্তান। যাকে দেখার জন্য পুলিশের দ্বারস্থ হতে হয়েছিল বাবা কাঞ্চনকে। অন্যদিকে অভিনেতা-বিধায়ক শুধুমাত্র আইনি বিবাহ বিচ্ছেদে সিলমোহর বসিয়েছেন। তাহলে কি এবার শ্রীময়ী চট্টরাজের সঙ্গে নতুন জীবন শুরু করতে চলেছেন কাঞ্চন মল্লিক? সময়েই মিলবে সেই উত্তর।