চন্দ্রজিৎ মজুমদার, কান্দি: ভ্যাপসা গরমে নাভিশ্বাস পড়ুয়াদের। স্কুলে আসতে চায় না অনেকে। পড়ুয়াদের কথা ভেবে মানবিক উদ্যোগ নিলেন স্কুলের শিক্ষকরা। নিজেদের বেতনের টাকা দিয়ে ক্লাসরুমে বসালেন এসি। এমনই বেনজির ঘটনার সাক্ষী রইলেন কান্দি পুরসভা এলাকার রষোড়া অম্বিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের। ইতিপূর্বে নদিয়ার এক প্রাথমিক স্কুলেও শিক্ষকরা এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
গরমের হাত থেকে পড়ুয়াদের বাঁচাতে শিক্ষকদের উদ্যোগে স্কুলের প্রতিটি ক্লাসরুমে বসানো হয়েছে এসি। প্রায় চার লক্ষ টাকার এসি কিনেছেন শিক্ষকরা। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন না হলেও শুক্রবার থেকে পরীক্ষামূলকভাবে প্রতিটি ক্লাসে এসি চালানো হয়েছে। এর ফলে ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যাও বেড়েছে স্কুলে।
[আরও পড়ুন: ‘শাহাদত’ মডিউলে ফের বাংলা যোগ, মঙ্গলকোটের রাজমিস্ত্রির গ্রেপ্তারিতে উঠছে বহু প্রশ্ন]
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ওই স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৯০০ জন। গ্রীষ্মের ছুটির পর স্কুল খুললেও তাতে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা একেবারে কমে গিয়েছিল। তীব্র গরমের ছাত্রছাত্রীদের এই অনুপস্থিতি বলে জানানো হয়। সম্প্রতি স্কুলের পরিচালন কমিটি ও শিক্ষকরা আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করেন, ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার জন্য প্রতিটি ক্লাসরুমে এসি বসানো হবে। এদিন থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এসি মেশিনগুলি চালান হয়েছিল।
এ বিষয়ে স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি জয়ন্ত সিনহা জানিয়েছেন, ১০টা এসি বসানোর জন্য প্রাথমিকভাবে প্রায় ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তবে আগামীতে এর পরিকাঠামো আরও উন্নত করা হবে। এরজন্য স্কুলের সমস্ত শিক্ষকরা ব্যক্তিগতভাবে চাঁদা দিয়েছেন। এছাড়াও শিক্ষকদের কোঅপারেটিভ সংস্থা থেকেও থেকেও কিছুটা ঋণ নেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: উচ্ছেদ নিয়ে ধুন্ধুমার নিউ মার্কেটে, পুলিশ-হকার সংঘর্ষে রাস্তা অবরোধ, বন্ধ বাজার]
স্কুলের প্রধান শিক্ষক দীপ্তেন্দু ধর জানিয়েছেন,"তীব্র গরমের কারণে স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কমে যাচ্ছিল। সেই থেকেই ক্লাসরুমে এসি বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার ও কান্দি পুরসভার চেয়ারম্যান জয়দেব ঘটক আমাদের পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থা করেছেন। সহযোগিতা করেছেন। কিছুদিনের মধ্যেই এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে।" স্কুল ছাত্র অনিন্দ্য দাস জানিয়েছে, "ক্লাসরুমে এসি বসানো হচ্ছে জানতে পেরেই এদিন প্রায় সকলেই ক্লাসে যোগ দিয়েছিল। তীব্র গরমের মধ্যেও ক্লাস করতে আমাদের কোন কষ্ট হয়নি।"