সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: '১৯৪৭ সালের স্বাধীনতা ভিক্ষা ছিল, ভারত আসল স্বাধীনতা পেয়েছে ২০১৪ সালে।' বছর তিনেক আগে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। বিজেপির টিকিটে সাংসদ হওয়ার পর এবার সেই মন্তব্যে বিপাকে পড়লেন তিনি। বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে এবার হিমাচলের মান্ডি কেন্দ্রের সাংসদকে নোটিস পাঠাল আদালত।
কঙ্গনার বিতর্কিত বয়ানের জেরে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন আইনজীবী অমিত কুমার সাউ। ২০২১ সালেই এই অভিযোগ দায়ের করা হয় পুলিশের কাছে। যদিও সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনও পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি পুলিশকে। যার জেরে সরাসরি আদালতে কঙ্গনার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন তিনি। সেই মামলাতেই কঙ্গনাকে নোটিস পাঠাল মধ্যপ্রদেশের জেলা আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ৫ নভেম্বর। ওই দিন নিজের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে জবাব দিতে হবে কঙ্গনাকে।
আদালতের নোটিসের পর মামলাকারী আইনজীবী অমিত বলেন, 'দেশের বহু বীর সন্তান এই দেশকে স্বাধীন করতে রক্ত ঝরিয়েছেন। নিজের প্রাণ বলিদান দিয়েছেন। তার পর আমার দেশ স্বাধীনতা পেয়েছে। সেখানে কঙ্গনা বলছেন, এই স্বাধীনতা ভিক্ষা! এই ধরনের মন্তব্য অত্যন্ত আপত্তিকর কোনও ভাবেই এটা মানা যায় না। আদালতের কাছে ওনার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছিলাম আমি।'
২০২১ সালের নভেম্বর মাসে এক সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন কঙ্গনা। তিনি দাবি করেন, ১৯৪৭ সালে ভারত যে স্বাধীনতা পায় তা ছিল ইংরেজের ভিক্ষার দান। এর পর দেশে যে কংগ্রেস সরকার আসে তারাও ছিল ইংরেজদের দ্বারা প্রভাবিত। ভারত আসল স্বাধীনতা পেয়েছে ২০১৪ সালে। অর্থাৎ কঙ্গনা স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেন মোদির শাসনেই ভারত আসলে স্বাধীন হয়েছে। তাঁর এই মন্তব্যে দেশের নানা প্রান্তে কঙ্গনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কর্মসূচি করে কংগ্রেস। যদিও সেই সময় বিজেপির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন না কঙ্গনা রানাউত। তবে বিজেপির টিকিটে সাংসদ হওয়ার পর সেই মন্তব্যের জেরে আইনি প্যাঁচে পড়লেন তিনি।