সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে বাংলাদেশে। ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলন হয়ে গেল ‘হাসিনা হঠাও’ অভিযান। তার পর সারা দেশজুড়ে উন্মত্ত জনতার উল্লাস। মুজিবর রহমানের মূর্তির মাথায় উঠে প্রস্রাব, হাতুড়ির ঘায়ে মূর্তি ভাঙা। বাংলাদেশের এমন ছবি আগে দেখেনি কেউই। এবার অশান্ত বাংলাদেশ নিয়ে সরব হলেন কঙ্গনা রানাউত। সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া মুজিবের ভিডিও নিজের সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করে কঙ্গনা লিখলেন, মুজিবের মূর্তি ভেঙে এ কেমন প্রতিবাদ!
কঙ্গনা আরও লিখলেন, ''বাংলাদেশের কিছু মানুষ শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্তির উপর প্রস্রাব করছেন। এই মানুষটাই বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলেন। তাঁকে হত্যাও করা হয়েছিল। আমি ভাবছি, এই মানুষটা কী না করেছিলেন! ওঁর উপর কেন প্রস্রাব করছেন!'' এখানেই থামেননি কঙ্গনা। তিনি লিখলেন, ''কয়েক জনকে দেখলাম চিড়িয়াখানায় ঢুকে পশু-পাখিদের ধরে মারছে। প্রধানমন্ত্রী ইস্তফা দেওয়ার পরেও ওদের প্রতিবাদ থামেনি বোধ হয়! এ কেমন প্রতিবাদ বাংলাদেশে?''
[আরও পড়ুন: অবসর নিলেন তাপসীর স্বামী ম্যাথিয়াস, প্রাক্তন ব্যাডমিন্টন কোচকে ঘর মোছার নির্দেশ অভিনেত্রীর! ]
এর আগে বাংলাদেশ নিয়ে সরব হয়েছিলেন সোনম কাপুর। অশান্ত বাংলাদেশ নিয়ে সোনম লিখেছিলেন, এই মুহূর্তে স্বামী আনন্দ আহুজার সঙ্গে লন্ডনে রয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী সোনম কাপুর। তবে লন্ডনে থাকলেও, অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশের খবর দেখে বুক কেঁপে উঠেছে সোনমের। দুশ্চিন্তায় সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন সোনম। অনিল কাপুর কন্যা লিখলেন, ”এটা সত্যিই সাংঘাতিক। চলুন, সকলে মিলে বাংলাদেশের মানুষের জন্য প্রার্থনা করি।”
কয়েকমাস ধরেই সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংস্কারের দাবিতে পথে নেমেছিল বাংলাদেশের পড়ুয়ারা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কোটা সংস্কারও করা হয়। কিন্তু অশান্তি (Bangladesh Violence) থামেনি। পরে এই ছাত্র আন্দোলন কার্যত ‘হাসিনা হঠাও অভিযানে’র রূপ নেয়। গত ৫ আগস্ট যা ভয়ংকর আকার ধারণ করে। ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন হাসিনা। বাংলাদেশ সেনার বিমানে ভারতের হিন্ডন এয়ারবেসে আসেন তিনি। সেখানেই রাতে তাঁর করতে দেখা করেন অজিত ডোভাল। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সেসময় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন হাসিনা। কান্নায় এতটাই ভেঙে পড়েছিলেন তিনি যে কথা বলার অবস্থায় ছিলেন না। তাই নিজের আগামী পরিকল্পনা বা কোথায় যেতে চান সেসব নিয়ে ডোভালকে কিছুই জানাতে পারেননি হাসিনা। তাঁর মানসিক অবস্থা দেখে, পরবর্তী কোন দেশে আশ্রয় নিতে চান, এই প্রশ্নও নাকি করতে পারেননি ডোভাল।