সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাদ্রাসাগুলিতে (Madrasa) দেশবিরোধী তৈরি হয়। তাই রাজ্যে নিষিদ্ধ হোক সমস্ত মাদ্রাসা। এমনই আরজি জানালেন কর্ণাটকের (Karnataka) বিধায়ক রেণুকাচার্য। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর এহেন বক্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
ঠিক কী বলেছেন তিনি? সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, রেণুকাচার্য বলেছেন, ”আমি মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আরজি জানাচ্ছি মাদ্রাসাগুলি বন্ধ করে দিতে। আমাদের কি অন্য স্কুল নেই যেখানে হিন্দু ও খ্রিস্টান পড়ুয়ারা পড়াশোনা করে? ওরা ওখানে (মাদ্রাসায়) দেশবিরোধী শিক্ষায় শিক্ষিত হয়। হয় ওদের নিষিদ্ধ করা হোক কিংবা অন্যান্য স্কুলের মতো সিলেবাস রাখা হোক।”
[আরও পড়ুন: গ্যাস-পেট্রলের পর এবার দাম বাড়ছে ৮০০টি অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের! নাভিশ্বাস আমজনতার]
উল্লেখ্য, রেণুকাচার্য কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বম্মাইয়ের রাজনৈতিক সচিব। হিজাব বিতর্কেও তিনি কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস ভোট ব্যাংকের রাজনীতি করছে। তিনি বলেন, ”আমি কংগ্রেসকে বলতে চাই, ভোট ব্যাংক আপনাদের জন্য এত জরুরি? আর এটাও জানতে চাই মাদ্রাসাগুলির কী দরকার? কী শেখানো হয় সেখানে? ওরা ছোট ছোট শিশুদের প্ররোচিত করছে। আগামী দিনে এরাই দেশবিরোধী হয়ে উঠবে এবং ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলতে চাইবে না।”
পাশাপাশি হিজাব ইস্যুতে কর্ণাটক হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ডাকা বনধেরও বিরোধিতা করেন তিনি। তাঁর কথায়, ”কর্ণাটক বনধের ডাক দিয়েছে কিছু দেশবিরোধী সংগঠন। সরকার কেন এসব সহ্য করছে? এটা কি পাকিস্তান, বাংলাদেশ অথবা অন্য কোনও মুসলিম দেশ? আমরা এসব বরদাস্ত করব না।”
তাঁর এহেন মন্তব্যের পরে বিতর্ক ঘনিয়েছে। রেণুকাচার্য অবশ্য আগেই বিতর্কে জড়িয়েছেন। এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, নিজের দুই সন্তানের জন্য জাল জাতিগত শংসাপত্র পেশ করার। এবং তাদের অসৎ উপায়ে সরকারি সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার। বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা নথিভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে বিরোধীরা। তিনি অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।