সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মদের বিল দেখে চক্ষু চড়কগাছ নেটিজেনদের। পাঁচ-দশ হাজার নয়, একেবারে ৫২ হাজার ৮০০ টাকার মদ কিনেছেন ক্রেতা! সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে সেই বিলের ছবি। আবগারি দপ্তরের কানে খবর যেতেও বিশেষ সময় লাগেনি। আর তা ভাইরাল হতেই বিপাকে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়।
ঘটনা বেঙ্গালুরুর। লকডাউনের তৃতীয় দফার প্রথমদিন মদের দোকান খুলতেই সুরাপ্রেমীরা কীভাবে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন, তার সাক্ষী হয়েছে গোটা দেশ। ৪৬ দিন বন্ধ থাকার পর হাতে মদ পাওয়ার আশায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতেও কসুর করেননি তাঁরা। সরকারি নির্দেশিকার কথা মাথায় রেখে সীমিত সংখ্যক মদের দোকানই খুলেছে কর্ণাটক। শপিং মল কিংবা সুপারমার্কেটের দোকান বন্ধ। তাই স্ট্যান্ড অ্যালোন দোকানগুলি থেকে যাতে সকলেই মদ কিনতে পারেন, তার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণও বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
কর্ণাটকের আবগারি দপ্তরের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, কোনও বিক্রেতা একজন খদ্দেরকে ২.৬ লিটারের বেশি মদ (IMFL) অথবা ১৮ লিটারের বেশি বিয়ার বিক্রি করতে পারবেন না। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপে ভাইরাল হওয়া বিলটি অন্য কথা বলছে। দেখা যাচ্ছে, ক্রেতা ১৩.৫ লিটার মদ ও ৩৫ লিটাক বিয়ার কিনেছেন। অর্থাৎ বিক্রেতা যে সরকারি নিয়ম অমান্য করেছেন, তা স্পষ্ট। আর তাতেই আবগারি দপ্তরের নজরে পড়ে যান তিনি।
[আরও পড়ুন: শিশুকে অপহরণের চেষ্টা বাঁদরের! ভাইরাল ভিডিও দেখে আঁতকে উঠছেন নেটিজেনরা]
জেরায় বিক্রেতা জানান, আটজনের একটি দল মদ কিনেছিল। বিলটা শুধু একসঙ্গে করা হয়েছিল। বেঙ্গালুরু সাউথের আবগারি দপ্তরের তরফে এ গিরি বলেন, “বিষয়টা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জেরার পর ঠিক করা হবে ওদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা যায়।” যদিও এখনও পর্যন্ত ক্রেতাকে চিহ্নিত করা যায়নি। তবে তাঁর বিরুদ্ধেও মামলা করতে পারে আবগারি দপ্তর। কারণ ক্রেতাদের ২.৬ লিটারের বেশি কেনার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।
তবে এই একটিই নয়, এর আগে ৫৯ হাজার ৯৫২ টাকার একটি বিলের ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। সে ঘটনা ঘটেছিল ম্যাঙ্গালোরে।
[আরও পড়ুন: লকডাউনের মধ্যে বাড়িতে মদ তৈরির চেষ্টা, ধৃত বাবা ও ছেলে]
The post ৫২ হাজারেরও বেশি টাকার মদ কিনলেন খদ্দের! আবগারি দপ্তরের জেরার মুখে বিক্রেতা appeared first on Sangbad Pratidin.