shono
Advertisement

শিব না সিদ্দা? কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে কে?

রবিবারই দলীয় বৈঠকে নাম ঘোষণা করা হতে পারে মুখ্যমন্ত্রীর।
Posted: 08:19 PM May 13, 2023Updated: 08:20 PM May 13, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কুরসি এক। দাবিদার দুই। বিজেপির বিরুদ্ধে যৌথভাবে লড়াই করে বহু কাঙ্ক্ষিত জয় তো এল, কিন্তু এবার আরও বড় প্রশ্নের মুখে কংগ্রেস। কন্নড়ভূমের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কাকে বাছা হবে? দলের একান্ত অনুগত, পরিশ্রমী ডিকে শিবকুমার (DK Shivkumar) নাকি জনপ্রিয় প্রভাবশালী সিদ্দারামাইয়া? এই ধাঁধার সমাধান খুঁজে কর্ণাটককে স্থায়ী সরকার দেওয়াটাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হাত শিবিরের কাছে।

Advertisement

একদিকে আছেন ডিকে শিবকুমার। ৮ বারের বিধায়ক। একাধিকবারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। এবং কংগ্রেসের ক্রাইসিস ম্যানেজার। কংগ্রেস (Congress) যখন সংকটে পড়ে তখনও পাওয়া যায় ডিকেকে। দেশের সবচেয়ে ধনী রাজনীতিবিদদের একজন, ভোটারদের মধ্যেও রয়েছে ডিকের প্রভাব। অন্যদিকে সিদ্দারামাইয়া। এই মুহূর্তে কর্ণাটকের সবচেয়ে জনপ্রিয় জননেতা সিদ্দা। এর আগে ২০১৩-১৮ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশিবার বাজেট পেশ করার রেকর্ডও রয়েছে তাঁর দখলে। মোট ১৩ বার বাজেট পেশ করেছেন তিনি। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, সব জনগোষ্ঠীর মানুষের মধ্যে তিনি জনপ্রিয়।

[আরও পড়ুন: ‘বাংলায় সন্ত্রাসের প্রথম ভুক্তভোগী’, দিল্লিতে দাঁড়িয়ে তৃণমূলকে কড়া আক্রমণ নাড্ডার]

কংগ্রেসের এই শিব এবং সিদ্দা দু’জনেই মুখ্যমন্ত্রী পদের প্রবল দাবিদার। দু’জনেই দলকে জেতাতে প্রাণপাত করেছেন। ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষা দলের স্বার্থে কোনওরকম চিড় ধরাতে পারেনি। জয়ের পরই ডিকে শিবকুমারের সমর্থকরা স্লোগান দিয়েছেন, ‘আবকি বার ডিকে সরকার’। আবার সিদ্দারামইয়ার ছেলে ইয়থিন্দ্র এদিন সকালেই বলে দিয়েছেন, তাঁর বাবাই মুখ্যমন্ত্রী হবেন।  সিদ্দা নিজেও একটা মোক্ষম চাল দিয়েছেন, এই নির্বাচনকে নিজের শেষ নির্বাচন হিসাবে ঘোষণা করে। এখন কঠিন সিদ্ধান্তটি নিতে হবে হাইকম্যান্ডকে।

[আরও পড়ুন: দুর্নীতিগ্রস্ত, ফাঁকিবাজদের তৃণমূলে ঠাঁই নেই, অনুব্রতহীন বীরভূমে বার্তা অভিষেকের]

কংগ্রেস সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে শিবকুমারের থেকে সামান্য এগিয়ে সিদ্দারামাইয়াই (Siddaramiah)। স্রেফ রাজ্যজুড়ে জনপ্রিয়তাই তাঁকে এগিয়ে রাখছে লড়াইয়ে। তাছাড়া বিধায়কদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় তিনি। তবে ডিকে-কেও হতাশ করতে চায় না কংগ্রেস হাই-কম্যান্ড। সূত্রের খবর, ডিকে এখন যেমন প্রদেশ সভাপতি রয়েছেন, তেমন থাকবেন। সেই সঙ্গে তাঁকে উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হবে। নিতান্তই তাতে ডিকে রাজি না হলে দ্বিতীয় পরিকল্পনাও রাখা হয়েছে। সেক্ষেত্রে আড়াই বছর করে দু’জনকেই মুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে। তাতেও প্রথম আড়াই বছর মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন সিদ্দা। আর পরের আড়াই বছর থাকবেন ডিকে। কংগ্রেস চাইছে শিবকুমারকে লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) দেশজুড়ে কাজে লাগাতে। রবিবার বেঙ্গালুরুতে দলীয় বিধায়কদের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেই বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করে দেওয়া হতে পারে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement