সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ডোন্ট জাজ আ বুক বাই ইট’স কভার।’ ইংরাজি ভাষার এই প্রচলিত কথাটি অনেকেই শুনেছেন বা বলে থাকেন। কিন্তু মানেন ক’জন? কর্ণাটকের সেলসম্যান তো মানেননি। তার ফলও পেয়েছেন হাতেনাতে। স্থানীয় কৃষকের কাছে পেয়েছেন উচিত শিক্ষা। ‘দামি গাড়ি কেনা যোগ্যতা আপনার নেই’ গাড়ি কিনতে আসা কৃষককে অপমান করেছিলেন একথাই বলেন সেলসম্যান। তিরিশ মিনিটের মধ্যে মোক্ষম জবাব পেয়ে যান তিনি।
কর্ণাটকের রামানাপাল্যা এলাকার বাসিন্দা কেম্পেগৌড়া আর এল। সেখানেই কৃষিকাজ করেন। যা আয় হয় তাতে দিব্যি সংসার চলে যায়। আবার কিছু টাকা সঞ্চয়ও করে ফেলেছেন। একটি দামি গাড়ি কিনবেন। অনেকদিন ধরেই এই স্বপ্ন ছিল কেম্পেগৌড়ার। সেই মতো বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে স্থানীয় গাড়ির শো রুমে গিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, কেম্পেগৌড়ার সাধারণ পোশাক দেখে তাঁকে অত্যন্ত অপমান করেন গাড়ির সেলসম্যান।
[আরও পড়ুন: অনলাইন ক্লাসের ফাঁকে পর্নোগ্রাফি, বালককে টানা দেড় মাস ‘যৌন হেনস্তা’, ধৃত ৩ নাবালক]
সেলসম্যান দাবি করেন, সারা জীবনেও কেম্পেগৌড়ার মতো মানুষ SUV গাড়ি কিনে উঠতে পারবেন না। সেলসম্যানের কথা শুনে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন কেম্পেগৌড়া এবং তাঁর বন্ধুরা। সঙ্গে সঙ্গে সেলসম্যানকে চ্যালেঞ্জ করেন, সে যেন গাড়ির সমস্ত কাগজপত্র রেডি করে রাখে। সেদিনই তিনি নগদ টাকা নিয়ে এসে গাড়ির ডেলিভারি নেবেন। যেমনি কথা, তেমনি কাজ। ৩০ মিনিটের মধ্যে ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে শো রুমে হাজির হন কর্ণাটকের কৃষক।
কেম্পেগৌড়া যে এত তাড়াতাড়ি ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে চলে আসবেন তা ভেবে উঠতে পারেননি সেলসম্যান। হতবাক হয়ে যান তিনি। কীভাবে তাঁর পোশাক দেখে তাঁকে অপমান করার সাহস পান ওই সেলসম্যান? প্রশ্ন তোলেন কেম্পেগৌড়া। কোনও উত্তর দিতে পারেননি সেলসম্যান। ওই সময়ের মধ্যে গাড়ির ডেলিভারিও তিনি দিতে পারেননি। বিষয়টি স্থানীয় পুলিশকেও জানান কেম্পেগৌড়া এবং তাঁর বন্ধুরা। কর্ণাটকের কৃষক জানান, গাড়িটি কেনার সামর্থ্য থাকলেও তিনি আর কিনবেন না। এমন ব্যবহারের পর ওই শো রুম থেকে তো এক্কেবারেই কিনবেন না।