সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খুনের দায়ে যাবজ্জীবন সাজা পেয়েছিলেন। কিন্তু জেলে বসেই কোনওভাবে ওই বন্দির হাতে এসেছিল মোবাইল ফোন। যা নিয়ে কারাগারের রুটিন চেকআপের সময় মহা ফাঁপরে পড়ে সে। জেলের কর্মীদের থেকে বাঁচতে ফোনটিকে অন্য কোথায় লুকানোর বদলে দিব্যি গিলে ফেলে ওই কয়েদি! শুধু তাই নয় ওইভাবে ২০ দিন কাটিয়েও ফেলেছিল সে। কিন্তু একদিন অসহ্য পেটের যন্ত্রণায় আর পার পায়নি সে। জেলের আধিকারিকরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সবটা সামনে চলে আসে সকলের। এই কাণ্ড কর্নাটকের শিবমোগা জেলের।
আর যে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে তার নাম পরশুরাম। দিন চারেক আগেই অস্ত্রোপচার করে পরশুরামের পেট থেকে একটি চিনা কিপ্যাড ফোন বের করেন চিকিৎসকরা। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গত মাসের শেষের দিকে জেলে হঠাৎ একদিন পেটের যন্ত্রণায় ছটপট করতে শুরু করেছিল পরশুরাম। ব্যথা সহ্য করতে না পেরে সে জেলের আধাকারিকদের কাছে অসুস্থতার কথা বলে। তখনই তাকে বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এক্স রে করার সময় চক্ষু চরকগাছ হয়ে যায় সেখানকার চিকিৎসকদের। পাকস্থলীতে যে আস্ত একটা মোবাইল আটকে রয়েছে। তড়িঘড়ি অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। প্রায় দুঘণ্টার উপর চলে সেই জটিল সার্জারি।
[আরও পড়ুন: পথেঘাটে পশুর মতো আচরণ, মানুষকে ‘জম্বি’ করে দিচ্ছে এই ওষুধ!]
এনিয়ে ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চিনা ফোনটি আকারে ছোট হওয়ায় সেটি খাদ্যনালি দিয়ে পরশুরামের পাকস্থলীতে চলে গিয়েছিল। জানা গিয়েছে, জেলে পেট ব্যথার কথা বলার সময় পরশুরাম একবারও জানায়নি সে কী কাণ্ড ঘটিয়েছে। চিকিৎসা শুরু করার সময়ই সবটা পরিষ্কার হয়ে যায়।
এদিকে, জেলে মোবাইল রাখার অভিযোগে পরশুরামের বিরুদ্ধে মামলা করেছে তুঙ্গানগর থানার পুলিশ। এই ঘটনা নিয়ে সেখানকার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, "জেলের ভেতরে নিয়মিত তল্লাশি চালানো হয়। মোবাইল, মাদক ও অন্যান্য দ্রব্য কারও কাছে রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হয়। রুটিন চেপআপের সময় অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় কয়েদিরা সেই সব জিনিস শৌচাগার বা অন্য জায়াগায় লুকিয়ে রাখে। কিন্তু পরশুরাম মোবাইলটি গিলেই ফেলেছিল।" তিনি আরও জানান, অস্ত্রোপচারের পর পরশুরামকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয় এবং চিকিৎসকরা সুস্থ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার পর তাকে শিবমোগা কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।